নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখতে চাই: নাদিরা ইয়াসমিন জলি
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৯:৪৯ | আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২০:১৮
।। সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর ।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয় মহিলা সংস্থা, পাবনার চেয়ারম্যান ও পাবনা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাদিরা ইয়াসমিন জলি।
শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ৪১ জনের নাম ঘোষণার পর শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সংরক্ষিত মহিলা আসনের মনোনীত আরও দুইজনের নাম ঘোষণা করা হয়।
মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরে সারাবাংলার সাথে আলাপকালে নাদিরা ইয়াসমিন জলি বলেন, কাজের মূল্যায়ন করে আমাকে নতুন যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেজন্য আমি প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের দলীয় সভাপতির কাছে কৃতজ্ঞ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনৈতিক দলের একজন কর্মী হিসেবে আমি জনগণের সেবা করতে চাই। আমার বাকি জীবনটা আমি তাদের সেবায় নিয়োজিত রাখতে চাই। এটাই আমার জীবনের বড় পাওয়া যে, আমি সংসদে আমার এলাকাবাসীর হয়ে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একজন কর্মী হিসেবে আমি নারীর ক্ষমতায়নের জন্যে ভূমিকা রাখতে চাই। নারীদের উন্নয়নে আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, আমি যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করব। শুধুমাত্র নারীদের আত্মনির্ভরশীল করার জন্য নয়, সমাজে পিছিয়ে পড়া নারীদের আমি সামনে এগিয়ে নিতে চাই।
আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল যেভাবে সমাজের অটিস্টিক ও দুস্থ শিশুদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, আমি তাতেও ভূমিকা রাখার চেষ্টা করব। জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে আমার এলাকায় নারী উন্নয়নের কাজ আমার হাত দিয়েই হয়। নতুন দায়িত্ব তাই আমার কাজে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি। প্রতিবন্ধীদের জন্যে কাজ করে যেতে চাই। তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করতে চাই, বলেন তিনি।
নাদিয়া ইয়াসমিন জলি আরও বলেন, প্রতিবন্ধীরা কিন্তু এখন পিছিয়ে নেই। তারাও এখন সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। আন্তর্জাতিক পদক আনছে খেলাধূলার মাঠ থেকেও। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অনেকে কাজ করছে। তাদের জন্য তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়েই কাজ করে যাব। আমিও এক সময় কর্মী ছিলাম, আজ নেতৃত্বে এসেছি। নেতা তৈরি করার দায়িত্বও আমাদের নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও যেন সমানভাবে এগিয়ে আসে- তা নিশ্চিত করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার। সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শিশু-কিশোর-তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। আগামী প্রজন্ম যেন সঠিক ইতিহাস জানতে পারে, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে চাই। কাজ করতে চাই, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে।
সারাবাংলা/এটি