বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় মিয়ানমারের শতাধিক নাগরিক
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৯:০৩ | আপডেট: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৯:০৫
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
বান্দরবান : বান্দরবানের রুমা উপজেলার সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের চিন রাজ্যের প্রায় ২০০ নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য জড়ো হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। রুমার দুর্গম রেমাক্রী পাংসা ইউনিয়নের ৭২ নং পিলারের কাছে চাইক্ষিয়াং পাড়ার ওপারে এসব মানুষ অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
বান্দরবানের স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন ধরেই মিয়ানমারের চিন রাজ্যের প্লাতোয়া জেলায় বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে সেখানকার বাসিন্দারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছেন।
তবে শরণার্থীরা যেন বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে না পারেন সেজন্য রুমা ব্যাটালিয়নের সেনাবাহিনী ও বিজিবির চারটিরও বেশি টহল দল এখন সীমান্তে অবস্থান করছে।
বিজিবির বান্দরবান সেক্টরের সেক্টর অধিনায়ক কর্নেল জহিরুল ইসলাম জানান, মিয়ানমারের এই নাগরিকরা যেন কোনোভাবেই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্তে সতকর্তা জারি করা হয়েছে। সীমান্তের সম্ভাব্য স্থানগুলোতে টহল দলও পাঠানো হয়েছে।
রেমাক্রী পাংসার ইউপি চেয়ারম্যান জিরা বম জানান, সীমান্তের ওপারে চিন রাজ্যের প্লাতোয়া জেলার কান্তালিন, খামংওয়া, তরোয়াইন এলাকাগুলোর পাড়ায় হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপক গুলি ও বোমাবর্ষণ করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এসব জায়গা থেকে মিয়ানমারের খুমি, খেয়াং, বম ও রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রায় ২০০ নারী-পুরুষ ও শিশু আতঙ্কিত হয়ে বাংলাদেশের সীমান্তে অনুপ্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে। তারা রুমা উপজেলার রোমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের চাইক্ষিয়াং সীমান্তের ওপারে তিদং এলাকায় জড়ো হয়েছে। এসব নাগরিক বান্দরবান সীমান্তের চাইক্ষিয়াং পাড়া, নেপু পাড়াসহ কয়েকটি পাড়ায় প্রবেশে চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এসএমএন