কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় খালেদার চার্জ শুনানি পেছাল
৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:৫৬
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় চার্জ শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) মামলাটির চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার দুই আসামি মো. আমিনুল হক ও এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর পক্ষে মামলাটি হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।
এদিন ঢাকার অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-২ নম্বর বিশেষ জজ এ এইচ এম রুহুল ইমরান আসামি পক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের সংখ্যা ১৩ জন। কিন্তু জামায়াত নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১১ জন।
আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।
গত ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।
সারাবাংলা/এআই/এসএমএন