‘পুলিশের কেউ মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’
২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:১৮
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘পুলিশের কোনো সদস্য যদি মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকে, পৃষ্ঠপোষকতা অথবা সহায়তা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থাস নেওয়া হবে। যাতে অন্যরাও দেখে ভয় পায়।’ মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বাড্ডা আফতাব নগর এলাকায় পুলিশ সেবা সপ্তাহ ২০১৯ ও সিসি ক্যামেরা কন্ট্রোল রুমের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গেলে ডিজিটাল নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। অপরাধ শুন্য করতে হলে সিসি ক্যামেরার বিকল্প নেই। গুলশান, বনানী, বারিধারায় সিসি ক্যামেরা বসানোর ফলে অপরাধ শুন্যের কোটায় এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আফতাব নগরে একশটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পুরো আফতাব নগর এলাকায় এখন থেকে আর অপরাধ থাকবে না। কেউ অপরাধ করার সাহস পাবে না। করলেও পালিয়ে বাঁচতে পারবে না। খুব সহজে পাকড়াও করা যাবে।’
ঢাকা শহরের অপরাধ কমানোর জন্য ৮০ লাখ নাগরিকের তথ্য সম্বলিত একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। এখন সেটা অনেক কাজে লাগছে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘গুলশানে যে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে তা ছিল নজিরবিহীন। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ একের পর এক জঙ্গি আস্তানা ভেঙ্গে দিয়েছে। দেশে এখন আর জঙ্গি নেটওয়ার্ক নেই। তেমনিভাবে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। ঢাকা শহরের কোথাও মাদকের আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেলে তা ভেঙে তছনছ করা হবে। কড়াইল বস্তি ও কারওয়ান বাজারের মতো মাদক আস্তানা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মাদকের লগ্নি কারা করছে তা খোঁজা হচ্ছে। যেই হোক না কেনো তার কোমরে রশি পরানো হবে।’
‘ঢাকা শহরে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই নেই বললেই চলে। এরপরেও দুএকটি ঘটনা ঘটলে ন্যূনতম সময়ের মধ্যে তা ডিটেক্ট করা হয়। এটি সিসিটিভির মাধ্যমেই সম্ভব হচ্ছে। এখন আর ব্যবসায়ীকে চাঁদা দিতে হবে না। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধেও আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সবার জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এসব করতে গিয়ে থানায় পুলিশ যথাযথ সেবা প্রদান করবেন। থানায় গিয়ে কেউ যদি সেবা না পান অথবা হয়রানির শিকার হন তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান। সেবার মানসিকতা নিয়ে মানুষকে সেবা দিন। না পারলে চলে যাবেন অন্য কেউ দায়িত্ব পালন করবে’—বলেন ডিএমপি কশিশানার।
এর আগে বাড্ডা ইউলুপ থেকে পুলিশ সেবা সপ্তাহের র্যালি নিয়ে আফতাব নগরে আসেন। র্যালি শুরুর আগে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জঙ্গী, সন্ত্রাস, মাদক ও ভুমি দখলকারীরা যতবড় ক্ষমতাশালীই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আফতাব নগরের পুরো এলাকা জুড়ে মোট একশটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ক্যামেরা পিটিজেড মডেলের। পিটিজেড বলতে জানানো হয়, এই ক্যামেরা দিয়ে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা মনিটরিং করা যাবে। যা একটি কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে পুলিশ। আফতাব নগর পুলিশ ফাঁড়ির ভেতরে একটি কক্ষে সিসিটিভির এই কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে।
সারাবাংলা/ইউজে/এমআই