Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দুদক চেয়ারম্যান হঠাৎ স্কুলে, ৮ শিক্ষকের ৭ জনই অনুপস্থিত


২৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:২৯ | আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:৫১

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: চট্টগ্রামের একটি স্কুলে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে আট শিক্ষকের সাত জনকেই কর্মস্থলে পাননি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। এ ব্যাপারে তিনি ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, শিক্ষা নিয়ে কাউকেই ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না, যে কোনো মূল্যে শ্রেণিকক্ষেই শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের নিকট বিশেষ মাধ্যমে খবর আসে চট্টগ্রাম মহানগরীর অধিকাংশ বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ নিয়মিত স্কুলে আসেন না। বিষয়টি গোপন রেখে স্বয়ং দুদক চেয়ারম্যান রোববার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৮.২৫ মিনিটে পৌঁছে যান চট্টগ্রামে। সকাল ০৯টা ১৫ মিনিটে হাজির হন নগরীর কাট্টলী নুরুল হক চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে।

স্কুল সময়ে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিবাবকদের স্কুলের বাইরে দেখে বিস্মিত দুদক চেয়ারম্যান ঢুকে পড়েন স্কুলে। সেখানে সরেজমিনে দেখেন স্কুলের আটজন শিক্ষকের মধ্যে একমাত্র ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উপস্থিত, বাকি সাতজন শিক্ষকই অনুপস্থিত। ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের আশে-পাশে আচার-চানাচুর খেয়ে অলস সময় পার করছে। অভিভাবকগণ দুদক চেয়ারম্যানকে কাছে পেয়ে তাদের সন্তানদের শিক্ষা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন।

এসময় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমাদের সন্তানদের শিক্ষা নিয়ে কাউকেই ছিনিমিনি খেলত দেওয়া হবে না। যে কোনো মূল্যে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে। প্রয়োজনে দুদক দন্ড-বিধির ১৬৬ ধারা প্রয়োগ করবে। তারপরও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষতিসাধন করবেন বা করার চেষ্টা করবেন এমন কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

বিজ্ঞাপন

এর পরপরই দুদক চেয়ারম্যান যান নগরীর ভাটিয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে গিয়ে দেখেন ১১ জন শিক্ষকের মধ্যে ২ জন শিক্ষক অনুপস্থিত। এদের অনুপস্থিতির কারণ স্কুল কর্তৃপক্ষ দুদক চেয়ারম্যান জানাতে পারেননি। দুদক চেয়ারম্যান ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি শিট পরীক্ষা করে দেখেন, গতকাল যে সকল শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল তাদের অনেককেই উপস্থিত দেখানো হয়েছে। আবার আজ বেলা ১০ টা পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের রোল কল করা হয়নি। এ বিষয়েও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

এরপর দুদক চেয়ারম্যান আকস্মিক পরিদর্শনের যান নগরীর শীতলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করা কোনো শিক্ষার্থীকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় সুযোগ (সেন্ট-আপ) দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি অবহিত হয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন দুদক চেয়ারম্যান। তবে নবম শ্রেণিতে এক বা একাধিক বিষয়ে ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীদের দুই হাজার টাকার বিনিময়ে দশম শ্রেণিতে প্রোমোশন দেওয়ার বিষয়ে জানতে পারেন।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, এটা অনৈতিক। শিক্ষাক্ষেত্রে অনৈতিকতার কোনো স্থান থাকতে পারে না।

সারাবাংলা/এসজে/এনএইচ

ইকবাল মাহমুদ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শিক্ষা ব্যবস্থা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর