তৃণমূলের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ হাতে নিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
১২ জানুয়ারি ২০১৯ ১৯:০০ | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ১৯:০২
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ দীর্ঘতম সময় রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রতি আমাদেরও কর্তব্য অধিক বেড়ে গেছে। তৃণমূল মানুষের ভাগ্য কীভাবে উন্নত হবে, সেই লক্ষ্যে আমাদের সব কাজ হাতে নিয়েছি।’ শনিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যৌথ সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই, সারাদেশে শান্তি বজায় থাকুক, শান্তির মধ্য দিয়েই উন্নয়ন করা সম্ভব।’ তিনি বলেন, ‘আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমি এটুকু দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, আমরা যেভাবে আমাদের সমস্ত পরিকল্পনা নিয়েছিলাম এবং যে কাজগুলো করেছি, সে কাজগুলো অব্যাহত থাকবে। দেশের মানুষ এর সুফল পাবে। দেশের মানুষের জীবন মান আরও উন্নত হবে। প্রত্যেকটি গ্রামের মানুষ যেন শহরের মতো নাগরিক সুবিধা পায়, আমরা সেভাবে পরিকল্পনা নিয়েছি। মানুষের আয়বৈষম্য হ্রাস পাবে।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপির উচিত সংসদে আসা: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতির সূচনা বক্তব্যের পরে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অধিকাংশ নেতা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ২০১৮ সালের ৬ জুলাই গণভবনে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতির আগমন উপলক্ষে দলীয় নেতাকর্মীরা জিরো পয়েন্টে রাস্তার পাশে অবস্থান নেন। এই উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সর্তক অবস্থানে ছিল।
টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রথম যৌথসভাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটুকু বলতে পারি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে পুনরায় আমরা সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছি। সভায় আমরা বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করবো এবং কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু আমরা আমাদের নতুন সরকার গঠন করেছি, সেহেতু এই সরকারের কার্যক্রম নিয়ে এবং আমাদের যে নির্বাচনি ইশতেহার, এই ইশহেতার কীভাবে বাস্তবায়ন করব, এসব বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চাই। সংগঠনকে আরও কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, সেই দিকে বিশেষ করে দৃষ্টি দিতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল, মাঝখানে ৭/৮ বছর আমরা ছিলাম না কিন্তু এরপরে ১০ বছর আমরা রাষ্ট্রপরিচালনা করে আবারও ৫ বছরের জন্য ম্যান্ডেট পেলাম। তাই আমাদের এখন একটাই চিন্তা করতে হবে। আমরা যে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছি, সেগুলো যেমন বাস্তবায়ন করতে হবে, তেমনি বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য আরও কী কী করতে পারি, সেটাও চিন্তা করতে হবে।’
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অর্জনগুলো ধরে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হওয়ার পাশাপাশি ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।’
‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ করে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী দেশে-বিদেশে ব্যাপকভাবে পালনের কথা তুলে ধরে এলক্ষ্যে এখন থেকেই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
বক্তব্যের শুরুতে প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক প্রকাশ করেন। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন দলের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। আওয়ামী লীগ সভাপতির আসনের দুই পাশে দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, এইচ টি ইমাম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/এমএনএইচ