Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ড. কামালকে এক হাত নিলেন আইনমন্ত্রী


১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:২৯ | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:৩২

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন কখনও দেশের জন্য কোনো কাজ করেননি বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের আইনজীবীদের জাতীয় সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, এখনও তিনি যা করছেন তা জনগণের পক্ষে না । তাই দেশের বিপক্ষ শক্তিকে প্রত্যাখানের জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, ড. কামাল হোসেনে একাত্তরে পাকিস্তানে ছিলেন। ১৯৭৫ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় উনি তখন ইংল্যান্ডে ছিলেন। এরপর থেকে তিনি যা যা করেছেন সেটা যদি দেখেন তাহলে সেটা বাংলাদেশের জনগণের জন্য উনি কোন কাজ করেন নাই। আজকে উনি যেটা করছেন সেটা ও জনগণের পক্ষে না।

আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধীদের বিচার: ঐক্যফ্রন্টে আছে, বিএনপিতে নেই

তিনি আরও বলেন, আগামী ৩০ শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মূলত দুটি পক্ষের মধ্যে লড়াই হবে। একটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি । আর অন্যটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী দল- জামায়াতে ইসলাম ও তাদের লালন পালনকারী, বিদেশে অর্থ পাচারকারী এবং এতিমদের টাকা লুটপাটের দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা। যারা বাংলাদেশের অগ্নিসন্ত্রাসের প্রবর্তক এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী কুখ্যাতি অর্জন করেছে।

আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোট এবং নির্বাচন কমিশন জামায়াত ইসলামের নিবন্ধন বাতিল করার পর তারা এখন বিএনপি’র ওপর ভর করেছে। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে এবং মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার জন্য আবারও ষড়যন্ত্র করছে। ২০০৮ আট সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর তারা ভেবেছিল নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়। সেজন্য ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। বিপ্লব ঘটাতে চেয়েছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে তারা ক্ষমতায় বসার জন্য বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সবকিছুতে ব্যর্থ হয়ে ২০১৫ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তারা তিন মাস অগ্নি সন্ত্রাস চালিয়ে শতাধিক মানুষকে পুড়িয়েছে। শত শত মানুষকে পেট্রোল বোমার আগুনে ঝলছে দিয়েছে। প্রায় এক হাজার যানবাহন, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও সরকারি অফিস পুড়িয়েছে। দেশের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট করেছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এটি ছিল তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে তারা ৭১ সালের মতো পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। এবার তারা আবারও মরণকামড় নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। তাই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে জনগণতে সঙ্গে নিয়ে প্রত্যাখান করতে হবে। এজন্য তিনি উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন-ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাদল, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী শাহানারা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ও বিচারপতি মো তাফাজ্জাল ইসলাম ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচ/জেডএফ 

আনিসুল হক ড. কামাল হোসেন

বিজ্ঞাপন

রিশাদ-জাহানদাদে কুপোকাত সিলেট
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২১

আরো

সম্পর্কিত খবর