তৃতীয় বেঞ্চে অনাস্থা খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের
১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:৩৭ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:৩২
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিন আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে করা রিট শুনানির জন্য গঠিত তৃতীয় বেঞ্চের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন তারা আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) আইনজীবীরা এ অনাস্থার কথা জানান। এর আগে, মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে বিভক্ত আদেশ দিলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি জে বি এম হাসানের তৃতীয় বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
এর আগে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনের জন্য খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেয় বিএনপি। গত ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে তিন আসনেই তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। গত ৮ ডিসেম্বর আপিল শুনানিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ইসির পক্ষ থেকে চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হয় খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা।
নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রোববার (৯ ডিসেম্বর) হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) রিট শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায়ের জন্য দিন ঠিক করেন বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ। মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন স্থগিত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে মনোনয়ন বাতিলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিতের আদেশও দেন তিনি। তবে একই বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারপতির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে আবেদনটি খারিজ করে দেন।
এ বিভক্ত আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে যায় বিষয়টি। বুধবার সকালে আদেশের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি না লেখায় তিনি তা সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে ফেরত পাঠান। পরে সেটি ঠিক হয়ে এলে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের সাজা পেয়ে কারাভোগ করছেন খালেদা জিয়া। পরে আপিলে এই মামলায় তার সাজা বেড়ে হয়েছে ১০ বছর। পরে গত ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সাজা দেন আদালত।
সংবিধান অনুযায়ী, নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারী অপরাধে কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়ে দুই বছর বা তার বেশি মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে এবং তার কারামুক্তির পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্য হবেন না।
সারাবাংলা/এজেডকে/টিআর