Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি


১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:৩৩ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:৩৮

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের বিষয়ে হাইকোর্টের বিভক্ত আদেশের ফলে এখনো তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এখনো খালেদা জিয়া কোনো আদেশপ্রাপ্ত হননি বলে জানিয়েছেন।

খালেদার প্রার্থিতা নিয়ে বিভক্ত আদেশ, যাচ্ছে তৃতীয় বেঞ্চে

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘বেগম জিয়ার পক্ষে তিনটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। গতকাল সারাদিন এই পিটিশনের শুনানি হয়েছে। আজকে আদেশে দুজন বিচারপতির মধ্যে একজন বিচারপতি রুল, স্টে ও ডিরেকশন দেওয়ার পক্ষপাতিত্ব ছিলেন। অন্য একজন বিচারপতি তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন।

যেহেতু দুইজন বিচারপতি ঐক্যমতে পৌছাতে পারেননি। সেইজন্য এখন বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। প্রধান বিচারপতির কাছে গেলে তিনি পরবর্তী বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন। ফলে আইনগত অবস্থা দাঁড়ালো এখনো পর্যন্ত উনি (খালেদা জিয়া) কোন আদেশপ্রাপ্ত হননি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটাতো স্যাটেল ম্যাটার, কোনো ব্যক্তি দণ্ডপ্রাপ্ত হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কাজেই আমি তো প্রথম থেকেই বলে আসছি কোনো আদালত এ রকম আদেশ দিতে পারে না। যে আদেশের ফলে সংবিধানের একটি বিধান অকার্যকর হয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে, কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি নৈতিক স্খলনজনিত কারণে দুই বছরের অধিক সাজাপ্রাপ্ত হলে তিনি নির্বাচনের অযোগ্য হবেন। তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যায় না।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপি নেতা ইকবাল মাহমুদ টুকু ও রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মনোনয়ন গ্রহণে হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওনারা অনেক আগেই এই দণ্ড স্থগিত করার জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই পিটিশন হাইকোর্টে এলাও করা আছে এই যুক্তিতে একটি বেঞ্চ তাদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আদেশ দিয়েছেন।’

ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা কিভাবে নির্বাচন করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নাজমুল হুদার ব্যাপারে আমি জানি না কি যুক্তিতে তাকে দেওয়া হয়েছে তার কাগজপত্র না দেখে আমি কোনো কথা বলতে পারবো না। কিন্তু যেই কাজগপত্র গুলো আমার সামনে আছে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারে তিনি তো দণ্ডপ্রাপ্ত একজন ব্যক্তি, এবং এখনো তিনি দণ্ডভোগ করছেন। তার ব্যাপারে কোনো তর্কের অবকাশ নেই। যেহেতু এখন বিচারাধীন আছে আমি এর বেশি কিছু বলবো না। তবে আমার অভিমত হলো সাংবিধানিক যে বিধি বিধান আছে, সেটাহলো দেশের সর্বোচ্চ আইন। দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিকে যদি নির্বাচন করতে দেওয়া হয় তাহলে টোটালি সংবিধান লংঘন করা হবে।’

গত বছর ১০ নভেম্বর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে সাজা দিয়ে রায় হয়। এরপর চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর তার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। ওই রায়ে বলে দিয়েছেন রায়ের কপি পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের কথা বলা আছে। তার মানে তিনি দণ্ডিত এরপরও তার মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়া সংবিধান লংঘন হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘তার কাগজপত্র না দেখে আমি বলতে পারি না। কোনো ব্যক্তি যদি সংখুব্ধ হন তিনি আদালতে আসতে পারেন। দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত কোনো ব্যক্তিকে যদি নির্বাচন করার জন্য যোগ্য ঘোষণা করে এ আদেশে যে কেউ সংক্ষুব্ধ হয়ে আদালতে আসতে পারে। তার কারণ সাংবিধানের বিধি-বিধান সমুন্নত রাখা সকলেরই দায়িত্ব। এটা রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব। আমি এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলবো।

বিজ্ঞাপন

খালেদা জিয়ার এ আবেদনের বিষয়ে দ্রুত শুনানি শেষ করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা নিশ্চিত প্রধান বিচারপতি দ্রুত শুনানির আদেশ দেবেন। যত তাড়াতাড়ি এই বেঞ্চ আদেশে স্বাক্ষর করে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠাবে। প্রধান বিচারপতি তড়িৎগতিতে ব্যবস্থা নেবেন।’

বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়াই করতে পারবেন কি না সে বিষয়ে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই বিভক্ত আদেশ দেন।

সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই

খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর