Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নির্বাচন ঘিরে ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি বাড়বে না: পরিকল্পনামন্ত্রী


৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:৫১ | আপডেট: ৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:৫৩

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমেছে। নির্বাচনের কারণে ডিসেম্বরেও মূল্যস্ফীতি বাড়বে না বলে দাবি করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।

নভেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূণ্য ৮ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ।

মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব জিয়াউল ইসলাম, সাধারন অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম এবং তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন, গত অর্থবছরের তুলনায় এ বছর মূল্যস্ফীতি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় রয়েছে। কেননা বাজারেও কোনো জিনিসের দাম বাড়েনি। বরং দাম কমে গেছে। পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। যেসব পণ্য আমরা আমদানি করি সেসব পণ্যের দাম বাড়েনি।

মন্ত্রী বলেন, গত বছর নভেম্বর মাসে ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১৬ টাকা। এ বছর এখন ১০০ গ্রামের দাম ৮ টাকা। পেঁয়াজ গত বছর ছিল ৮৪ টাকা কেজি এবার ৪৮ টাকা। কুমড়া ৬০ টাকা, এবার ৫০ টাকা। রসুন ছিল ১১০ টাকা কেজি এখন ১০০ টাকা কেজি। চিনি প্রতি কেজি ছিল ৬৫ টাকা এখন ৫৮ টাকা কেজি। চাল গড়ে প্রতিকেজি ছিল ৫৪ টাকা, এ বছর ৪৮ টাকা কেজি। হলুদ এক কেজির দাম ছিল ২৬০ টাকা, এ বছর ১৯৪ টাকা। এভাবে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম কমেছে। তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি কমার আর একটি কারণ হচ্ছে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার গত এক বছর ধরেই স্থিতিশীল রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের কারনে ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি বাড়বে না। কর্মসংস্থান বিষয়ে বলেন, কর্মসংস্থান বাড়ছে তবে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে সেভাবে বাড়েনি। কারণ এ খাতে যে পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা ছিল তা আমরা দিতে পারিনি।

গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৯১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূণ্য ৬ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২১ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাড়িয়েছে ৬ দশমিক শূণ্য ৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ।

সারাবাংলা/জেজে/জেএএম

মূল্যস্ফীতি

বিজ্ঞাপন

৭ বছর পর মা-ছেলের সাক্ষাৎ
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর