Saturday 04 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সেনাবাহিনী জেলায় বসে থাকবে না, মুভ করবে


২৫ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:৫৪ | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:৫৫

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী জেলা সদরে চুপ বসে থাকবে না। কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটলে নিজ উদ্যোগে সেখানে গিয়ে তা প্রতিহত করবে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রমকে এ কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

রোববার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন-এর প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

উল্লেখ্য ইতোমধ্যে সিইসি গণমাধ্যমে বলেছেন, ১৫ ডিসেম্বর পর থেকে জেলাগুলোতে সেনাবাহিনীর ছোট টিম মোতায়েন থাকবে।

বৈঠক শেষে হাফিজ উদ্দিন বলেন,  ‘আমি সিইসিকে বলেছি নির্বাচনে সেনাবাহিনী জেলা সদরে চুপ করে বসে থাকবে, নাকি তারা ‘ফ্রিলি মুভ’ করবে। একটি এলাকায় ভোটকেন্দ্রের এক মাইল দূরে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়া হলে তখন মেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে। জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা আশ্বস্ত করেছেন, সেনাবাহিনী নির্বাচনি এলাকায় মুভ করবে। তারা জেলা সদরে চুপ করে বসে থাকবে না। যেখানেই সন্ত্রাস হবে, দে উইল রান ফর দ্যাট।’

সিইসি আরও বলেছেন, ‘নির্বাচনী এলাকায় যেকোনো ধরণের সহিংস ঘটনা হলেই সেনাবাহিনী তা প্রতিহত করবে। সেনাবাহিনী নিজ উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিহত করবে। তারা বসে থাকবে না। দে উইল অ্যাকটিভ অ্যান্ড মুভ অ্যারাউন্ড।’

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হাফিজ উদ্দিন বলেন, বিএনপির মহাসচিবের নির্দেশে আমি সিইসির সঙ্গে সাক্ষাত করেছি। সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তারা এলাকা ছাড়া। আমি নিজে ছয়বার নির্বাচনে জয়ী হয়েছি। এখন এলাকায় যেতে পারছি না। আমার মতো অনেক নেতা এলাকার বাইরে আছেন। আমার নির্বাচনি এলাকা ভোলা-৩। এই আসনে তফসিল ঘোষণার পর হয়রানিমূলক যে সব মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, তা সিইসিকে জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ প্রশাসনকেও তিনি এ বিষয়ে নির্দেশ দেবেন। সিইসি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, নির্বাচনে কোনো ধরণের সহিংসতা বরদাশত করবেন না।

ইভিএম প্রসঙ্গে হাফিজ উদ্দিন বলেন, সারাবিশ্বে ইভিএম একটি বিতির্কিত ভোটিং মেশিন। জার্মানি এটা বাদ দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী ভারতের কয়েকটি রাজ্যে কেবল এই মেশিন চালু আছে। উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহার হচ্ছে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকাংশ দেশেই এটা নেই। আশা করছি, আগামী নির্বাচনে এই মেশিন ব্যবহার না করার বিষয়ে আমাদের দাবির পুনর্বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।

সারাবাংলা/ জিএস/এমআই

সেনাবাহিনী

বিজ্ঞাপন

না ফেরার দেশে অঞ্জনা
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৪

এই তাসকিনকে সমীহ করবেন যে কেউ
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৭

আরো

সম্পর্কিত খবর