রেকর্ড ছাড়িয়েছে গ্রিন হাউজ গ্যাস কেন্দ্রীভূতের মাত্রা
২২ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:২৬ | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:২৮
।।আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
গত বছর বায়ুমণ্ডলে জমা হওয়া গ্রিন হাউজ গ্যাসের পরিমাণ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) তাদের বার্ষিক গ্রিন হাউজ গ্যাস বিষয়ক বুলেটিনে এ কথা জানিয়েছে। খবর বিবিসির।
গ্রিন হাউজ প্রতিক্রিয়ার জন্য দায়ী গ্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কার্বন ডাই-অক্সাইড। ২০১৭ সালে বায়ুমণ্ডলে এই গ্যাস জমা হওয়ার মাত্রা বিগত ৩০-৫০ লাখ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। পৌঁছেছে ৪০৫ পিপিএম’এ। এছাড়া নতুন করে বায়ুমণ্ডলে বৃদ্ধি পেয়েছে নিষিদ্ধ গ্যাস সিএফসি-১ এর উপস্থিতি।
প্রতি বছর পৃথিবী থেকে যে পরিমাণ গ্যাস নির্গত হয় এর কিছু অংশ সমুদ্র, গাছ ও মাটি গ্রহণ করে নেয়। যেটুকু বাকি থাকে সেটুকু আমাদের বায়ুমণ্ডলে জমা হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘কনসেন্ট্রেশন্স’ বা কেন্দ্রীভূতকরণ। ১৯৯০ সাল থেকে বায়ুমণ্ডলে এই গ্যাসের উপস্থিতির হিসাব রাখছে ডব্লিউএমও। তাদের হিসাব অনুসারে তখনকার তুলনায় বর্তমানে জলবায়ুতে এসব গ্যাসের প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে ৪১ শতাংশ।
২০১৭ সালে বায়ুমণ্ডলে কেন্দ্রীভূত হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বিগত বছরগুলোর চেয়ে গড় অনুপাতে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃদ্ধির পরিমাণ ২০১৫ ও ২০১৬ সালের তুলনায় গড়ে ৩ পিপিএম বেশি।
ডব্লিউএমও জানিয়েছে, শিল্প বিপ্লবের আগের তুলনায় বায়ুমণ্ডলে বর্তমানে কার্বন ডাই অক্সাইড কেন্দ্রীভূত হওয়ার মাত্রা ৪৬ শতাংশ বেশি বেড়েছে।
ডব্লিউএমও’র মহাপরিচালক পেটারি টালাস বলেন, এর আগে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে এত পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড কেন্দ্রীভূত হওয়ার ঘটনা ঘটে ৩০ থেকে ৫০ লাখ বছর আগে। তখন তাপমাত্রা ছিল বর্তমানের চেয়ে ২-৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বেশি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ছিল ১০-২০ মিটার বেশি।
২০১৭ সালে কার্বন ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি বৃদ্ধির কারণ…
২০১৫ সালের দিকে পৃথিবীজুড়ে ‘এল নিনো’ নামে পরিচিত প্রাকৃতিক পরিবর্তনের প্রভাব ছিল প্রকট। এর প্রভাবে পৃথিবীর নানা জায়গায় তীব্র খরা দেখা দেয়। এর কারণে বন ও গাছ-সমৃদ্ধ এলাকাগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করতে পারেনি। আর তার ফলে, বায়ুমণ্ডলে থেকে গেছে অধিক পরিমাণের কার্বন ডাই-অক্সাইড।
সারাবাংলা/ আরএ