প্রধানমন্ত্রীত্বকে জনগণের সেবা করার সুযোগ হিসেবে দেখি
২১ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:২৮ | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৯
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনা এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ আমার কাছে যতটা না মূল্যবান তার চাইতে এইটা একটা বড় সুযোগ জনকল্যাণের এবং জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের। আমি প্রধানমন্ত্রীত্বকে জনগণের সেবা করার সুযোগ হিসেবে দেখি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
তিনি বলেন,‘আমি মানুষের সেবায় এবং দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশ অবশ্যই এগিয়ে যাবে, ইনশাল্লাহ।’
প্রধানমন্ত্রী বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার-পরিজন এবং মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্রবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সেনানিবাসের মাল্টি পারপাস কমপ্লেক্সে এই সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমদ এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনীর ১০১ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং ৭জন বীরশ্রেষ্ঠের ঘনিষ্ট পরিবার-পরিজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল এবং এটি একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
তিনি বলেন,‘বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আজকে আমরা এই সম্মান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি এবং বিশ্বের বহু দেশ এখন বাংলাদেশকে অনুকরণ করতে চাইছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আমার সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে উন্নয়নের এই গতিকে অব্যাহত রাখা।’
তিনি বলেন,‘আমরা অবশ্যই লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হব এবং অনেক ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে আমরা আজকের অবস্থানে এসেছি এবং কেউই এই গতিকে রুখতে পারবে না, ইনশাল্লাহ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ একটি স্বাধীন দেশ এবং লক্ষ্য প্রাণের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
তিনি বলেন,‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ, এই স্বাধীনতা কখনই ব্যর্থ হতে পারে না। আমরা দেশের প্রত্যেকটি ঘরে স্বাধীনতার এই সুফলকে পৌঁছে দিতে চাই এবং এই দেশের আর কোন মানুষ দরিদ্র থাকবে না, অনাহারে কষ্ট পাবে না।’
বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণের অংশ ‘আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না’র উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।’
সারাবাংলা/একে