কিডনি হারিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
২০ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:৩৩ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:৩৮
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: চলচ্চিত্র নির্মাতা রফিক শিকদারের মায়ের কিডনী প্রতিস্থাপনের সময় ভুল চিকিৎসায় মারা যাওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরনের নির্দেশ কেন নয় তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে কিডনী অপারেশনের সম্পৃক্ত চিকিৎসকদের পেশাগত লাইসেন্স বাতিলের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো: আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: মারা গেলেন দুই কিডনি হারানো সেই মা, ছেলে যাবেন আদালতে
চিকিৎসা করাতে গিয়ে কিডনী কেটে ফেলে রওশন আরার মৃত্যর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র। আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম. আসাদুজ্জামান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো: আনিসুল হাসান ও মো: শাহীনুজ্জামান।
পরে আইনজীবী আসাদুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, এ ঘটনায় এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরনের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রুল দিয়েছেন। এর মধ্যে কিডনি অপসারনকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না, এর সঙ্গে সম্পৃক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
স্বাস্থ্য সচিব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ আটজনকে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চলচ্চিত্র নির্মাতা রফিক শিকদারের মায়ের অসুস্থ কিডনি কেটে ফেলতে গিয়ে সুস্থ কিডনিও ফেলেছেন ডাক্তার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কর্মরত অভিযুক্ত ওই ডাক্তারের নাম হাবিবুর রহমান দুলাল। তিনি ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক।
ভুল চিকিৎসায় নিজের মায়ের দুটি কিডনি হারানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করেন পরিচালক রফিক শিকদার। তার অভিযোগ, মায়ের একটি কিডনিতে অপারেশন করতে গিয়ে ভালো কিডনিও কেটে ফেলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক।
তার দাবি, চিকিৎসক হাবিবুর রহমান লিখিতভাবে অপরাধ স্বীকার করে তাদের সঙ্গে চুক্তি করেন যে, নিজ খরচে তিনি কিডনি প্রতিস্থাপন করে দেবেন। কিন্তু তিনি কালক্ষেপণ করেছেন। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউয়ের লাইফ সাপোর্টে কোমায় ফেলে রাখেন মাকে। সেখানে মায়ের মৃত্যু হয়।
সারাবাংলা/এজেডকে/জেডএফ