‘লাশ হবো, তবুও ঘরে ফিরব না’
৮ জানুয়ারি ২০১৮ ১৫:০৬ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৮ ১৮:৪৭
শাহ্ ওমর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
মাদ্রাসা জাতীয়করণ না হওয়া পর্যন্ত প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকরা ঘরে ফিরে যাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা লাশ হবো, তবুও দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না।
তিনি বলেন, আমরা আল্টিমেটাম দিয়েছি আগামীকাল ১১টার মধ্যে যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা না আসে আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাব। যদি লাশও হয়ে যাই, তবুও আন্দোলন চালিয়ে যাব।
৮ জানুয়ারি সোমবার অষ্টম দিনের মতো মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে। আন্দোলন চলাকালে সোমবার বেলা ১১টার দিকে শিক্ষক সমিতির সভাপতি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা শিক্ষামন্ত্রীর কোনো অনুদান চাই না। আমরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।
শিক্ষক সমিতির দপ্তর সম্পাদক মো. ইনতাজ বিন হাকিম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের প্রতিটি মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার জন্যে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন এবং দেশের জনগণের জন্য নিজের বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়েছেন। অথচ তারই কন্যা পরিচালিত দেশে আমরা ইবতেদায়ী শিক্ষকরা প্রায় বত্রিশ বছর বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে যাচ্ছি। বেতন ভাতা না পেয়ে শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তিনি আরও বলেন, যদি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকতেন তাহলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তীব্র শীতে খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে হতো না।’
আন্দোলনকারী মাদ্রাসা শিক্ষক জিয়াউল হক জিয়া বলেন, ‘শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে এক অন্যান্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তেমনিভাবে আমরা ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা আশা করছি, ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো একটি ইতিহাস সৃষ্টি করবেন।’
ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের এক দফা, এক দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ১ জানুয়ারি থেকে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা।
সারাবাংলা/ এসও/টিএম/একে