Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ন্যায়বিচারের আশায় ফেলানীর পরিবার


৭ জানুয়ারি ২০১৮ ১০:৪৪ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৮ ১৮:৪৪

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যার সাত বছর আজ। ন্যায়বিচারের আশায় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে দুটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। আগামী ১৮ জানুয়ারি রিটের শুনানি হবে। এদিকে, ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচারের আশায় দিন গুনছে তার পরিবার।

এ হত্যা মামলায় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরুর পক্ষে আইন সহায়তা দিচ্ছেন কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন।

২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চৌধুরীহাট সীমান্ত চৌকির কাছে কাঁটাতারের বেড়ায় নিহত কিশোরীটির মরদেহ দীর্ঘ সময় কাঁটাতারে ঝুলে থাকে।

এরপর দু’দিনব্যাপী দফায় দফায় পতাকা বৈঠকের পর বিএসএফ ফেলানীর লাশ বিজিবির কাছে ফেরত দিয়েছিল।

এ সময় ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধীন চৌধুরীহাট বিওপির কোম্পানি কমান্ডারের এফআইআরের ভিত্তিতে দিনহাটা থানায় একটি জিডি করা হয়। পরে এরই ভিত্তিতে ওইদিন একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়।

বিএসএফের জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স আদালতে দুই দফা বিচারে ফেলানীকে গুলি করে হত্যায় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে খালাস দেওয়া হয়।

এরপর ন্যায়বিচার চেয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে পরপর দুটি রিট করা হলেও আজও শুনানি হয়নি। এ অবস্থায় আগামী ১৮ জানুয়ারি একই সঙ্গে ওই দুই রিটের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

ফেলানীর মা জাহানারা বেগম বলেন, ‘আমি চাই, ফেলানীর হত্যাকারী অমিয় ঘোষের যেন ফাঁসি হয়।’

ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, ‘আমি আশা করছি, এবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ন্যায়বিচার পাবো। এখন ন্যায়বিচারের আশায় আদালতের দিকে তাকিয়ে আছি।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

 

ফেলানী হত্যা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর