Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জামিনযোগ্য মামলায় জামিন পেলেন না মইনুল’


২৩ অক্টোবর ২০১৮ ১৮:০১ | আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৮ ১৮:৪৫

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে রংপুরে দায়ের করা মানমাহির মামলাটি জামিনযোগ্য হলেও তিনি জামিন পান নি বলে অভিযোগ করেছেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। আর জামিন না পাওয়ার পেছনে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন মন্তব্য করে তিনি বলেন, মইনুলকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল তিনটার দিকে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসের মামলার শুনানি শেষে সারাবাংলাকে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন,  ৫’শ ধারার মামলায় ব্যক্তি পর্যায়ে যাকে অপমান করা হয়েছে, যিনি অপমানিত বোধ করেন তিনিই মামলা করতে পারেন। কিন্তু সারা বাংলাদেশ থেকে বিভিন্নভাবে  মামলাগুলো করা হয়েছে। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গনতন্ত্রের একটি শক্তিশালী শক্তি হিসেবে পরিচিত। আর এক্যফ্রন্টের পেছনে তার অনেক অবদান রয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে, সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি যে অংশগ্রহ না করতে পারেন সে কারণে সরকার নিজে এ মামলাটা করার উস্কানি দিচ্ছে। নতুবা এ ধরণের মামলা হওয়ার কোনো কারণ নেই।

খন্দকার মাহবুব বলেন, আজকে যে মামলাটা হয়েছে প্যানেল কোডের ৫’শ, ৫’শ ৬ ও ৯ ধারায় সব ধারা জামিন যোগ্য। সর্বশেষ আমার করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা আছে – যদি জামিন যোগ্য হয় অবশ্যই আসামিকে জামিন দিতে হবে। কিন্তু আমি এবং আমার বন্ধুরা আদালতকে বলেছিলাম যেহেতু এটি একটি জামিনযোগ্য আদেশ, আপনি তাকে একটা অন্তর্বতীকালীন জামিন দেন, সেই সঙ্গে নির্দেশ দেন যেখানে মামলা করা হয়েছে সেখান তাকে উপস্থিত করা হোক। কিন্তু সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন এবং ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

 খন্দকার মাহবুব জানান, একটি টেলিভিশনের টক শোতে ব্যারিস্টার মইনুল সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলায় নারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এতে ব্যারিস্টার মাইনুল হোসেন তার ভুল বুঝতে পারেন। তিনি টেলিফোন করে তার কাছে ক্ষমা চান। এছাড়াও লিখিতভাবে জানান তিনি দুঃখিত। কিন্তু তারপরও মাসুদা ভাট্টি মামলা করলেন। মামলার পরে আমরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিলাম। তারপর আরেকটি মামলা হল জামালপুরে। সেই মামলারও আমরা জামিন নিলাম।

যারা এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে এ মামলাগুলো করছে বিভিন্ন জায়গায়, তাদের বিরুদ্ধেও  আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। একই সঙ্গে এই আদেশের বিরুদ্ধে  উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণাও দেন জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী।

এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু সারাবাংলাকে বলেন, আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন এটা জামিনযোগ্য বিষয়, তাকে জামিন দেয়া হোক। কিন্তু অনেক নজির আছে, যেখানে জামিনযোগ্য বিষয় হলেও আদালতের এখতিয়ারে জামিন পান নাই। এ মামলাটি জামিনযোগ্য হলেও এটা  সেনসিটিভ বিষয়। এ মামলায় জামিন দিলে সারাদেশের নারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারেন। এতে দেশে বিশৃঙ্খলাও সৃষ্টি হতে পারে। এসব বিবেচনায় আদালত হয়তো তাকে জামিন মঞ্জুর করেননি।

সারাবাংলা/এসএইচ/জেডএফ

ব্যারিস্টার মইনুল

বিজ্ঞাপন

৭ বছর পর মা-ছেলের সাক্ষাৎ
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর