বিশ্ব এগুচ্ছে, বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই : প্রধানমন্ত্রী
৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১২:৪১ | আপডেট: ৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১৪:০৮
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান বিশ্ব দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। রাজধানীতে গণপরিবহনে ই-টিকিট ও র্যাপিড পাস কার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। গণভবনে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেবাটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাসে উঠে ভাড়া দেওয়া, টিকেট টাকার ঝক্কি-ঝামেলা এখন আর নেই। এই কার্ড ব্যবহার করে যে কেউ বাস ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন। এই কার্ড ব্যবহার করে বিল দেওয়া যাবে, কেনাকাটা করা হবে। আমরা সে ব্যবস্থা করেছি।’
এরইমধ্যে বাংলাদেশ ডাকবিভাগ ডিজিটালাইজেশন হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা পোস্ট অফিসকে ডিজিটাল করেছি। এখন যে কেউ মোবাইলের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারে।
র্যাপিড পাস কার্ডের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পরীক্ষামূলকভাবে মতিঝিল-আব্দুল্লাহপুর রুটে এই কার্ড চালু করেছিলাম। সেখানে মানুষ সত্যিই উপকৃত হয়েছে।
যারা এই সেবা দিচ্ছে তাদের বলব, আপনারা আন্তরিকভাবে কাজ করুন যাতে মানুষ সত্যিকার সেবা পায়।
র্যাপিড কার্ড পাস কার্যক্রমে সার্বিক সহায়তা দিচ্ছে জাপান সরকার। জাপান সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান আমাদের উন্নয়নের সহযোগী। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে জাপানের শিক্ষার্থীরা টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়েছে। পদ্মাসেতুর ফিজিবিলিট স্টাবিলিটি জরিপ করেছে জাপান, বঙ্গবন্ধু সেতু, রূপসা সেতু হয়েছে জাপানের সহায়তায়। এমনকি স্বাধীনতার পর সোনারগাঁ হোটেল বঙ্গবন্ধুকে উপহার দিয়েছিল জাপান। মেট্রোরেলসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্পে জাপান আমাদের সঙ্গে দেশে। এ জন্য জাপান সরকারকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
গণপরিবহনব্যবস্থায় সমন্বিত ই-টিকিটিং পদ্ধতি চালুর লক্ষ্যে ২০১৪ সালে সরকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। এই প্রকল্পের আওতায় র্যাপিড পাস সেবা চালু করা হয়। এতে আর্থিক সহায়তা দেয় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
জানা গেছে, ‘র্যাপিড পাস’ কার্ড ডেবিট কার্ডের মতো অত্যাধুনিক সার্কিটনির্ভর কার্ড। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও বিআরটিসির নির্ধারিত কাউন্টার থেকে এই কার্ড কেনা যাবে ও কার্ডে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা রিচার্জ করা যাবে। কার্ডটি ব্যবহারের জন্য বাসে চালকের পাশে একটি যন্ত্র রয়েছে। কার্ডধারী যাত্রী বাসে ওঠার সময় একবার এবং বাস থেকে নামার সময় একবার যন্ত্রের নির্দিষ্ট স্থানে কার্ডটি স্পর্শ করাবেন। বাস থেকে নামার সময় যন্ত্রে কার্ড স্পর্শ করানোর পর যন্ত্র থেকে রসিদ বের হবে। এতে ভাড়া ও কার্ডের ব্যালেন্স উল্লেখ করা থাকবে।
এই কার্ডের প্রাথমিক মূল্য ৪০০ টাকা। এর মধ্যে ২০০ টাকা রিচার্জ হিসেবে কার্ডে জমা থাকবে। ব্যবহারকারীরা একবার সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন ১০০ টাকা রিচার্জ করতে পারবেন। আবার ব্যবহারের সময় কার্ডে পর্যাপ্ত টাকা না থাকলেও একবার কার্ডটি ব্যবহার করা যাবে। এ ক্ষেত্রে পরবর্তী রিচার্জ থেকে টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমন্বয় করা হবে।
‘বিএনপির লক্ষ্য ছিল বাংলা ভাই, জঙ্গি তৈরি করা’
সারাবাংলা/একে