Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তিতলি নিয়ে শঙ্কা নেই, তবু আমরা প্রস্তুত: ত্রাণমন্ত্রী


১১ অক্টোবর ২০১৮ ১১:৫৪ | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৮ ২১:২৭

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: ঘুর্ণিঝড় তিতলি নিয়ে আর কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তবে, এখনো সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ঝড় মোকাবিলায়। উপকূলীয় জেলাগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, মজুত রয়েছে পর্যাপ্ত খাদ্য।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হয়ে আবহাওয়ার তথ্য জেনে ঘর থেকে বের হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন- ‘ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাব পড়ছে না বাংলাদেশে’

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, তিতলি ভারতীয় উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই ঘুর্ণিঝড় থেকে বাংলাদেশের আর ভয়ের কোনো কারণ নেই। তবে, তিতলির আঘাতের ১৯টি জেলা আক্রান্তের আশঙ্কা ছিল। এসব জেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, তিতলির জন্য কর্মকর্তাদের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দুর্যোগ প্রবণ ১৯টি জেলায় প্রতিদিন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মিটিং হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ১৯ জেলার রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মাধ্যমে এরই মধ্যে দেশের সাইক্লোন সেন্টার, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ওইসব এলাকার বৃদ্ধ নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধরা যেন তাদের জানমাল নিয়ে নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

দুর্যোগপ্রবণ জেলাগুলো হচ্ছে— বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, খুলনা, কক্সবাজার, চট্রগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, ভোলা, চাঁদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও শরীয়তপুর।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- উড়িষ্যা-অন্ধ্র উপকূলে আঘাত হেনেছে তিতলি

মন্ত্রী বলেন, নিয়মিতভাবে যেসব জেলাগুলোতে দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে, সেই জেলাগুলোতে আমরা সবসময় খাদ্য মজুত রাখি। প্রতিটি জেলা প্রশাসকের অফিসে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে, যেন যেকোনো সময় খাদ্য সরবরাহ করা যায়। আমরা সেসব এলাকায় ২৫ হাজার শুকনো খাবার মজুত রেখেছি, যা চাওয়া মাত্র দেওয়া সম্ভব। প্রতিটি জেলায় দুইশ থেকে আটশ মেট্রিক টন চালও মজুত রাখা হয়েছে। আবাসনের জন্য টিনসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রীও আমরা সেসব এলাকায় প্রস্তুত রেখেছি।

মায়া বলেন, আমরা গত বছরে রোহিঙ্গা সমস্যাসহ মোট ছয়টি বড় দুর্যোগ মোকাবেলা করেছি। এ পর্যন্ত আমরা সফলভাবে এসব ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করতে পেরেছি। আজ পাঁচ বছর হতে চলেছে আমাদের সরকারের। বিশেষ করে আমি এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের সময় সম্পর্কে নির্দ্বিধায় বলতে পারি, গত পাঁচ বছরে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে এ মন্ত্রণালয়ে কোনো দুই নম্বরি হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। কোনো জেলা বা উপজেলায় ত্রাণসামগ্রী নিয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি।

সারাবাংলা/এইচএ/জেএএম

ত্রাণমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর