Saturday 11 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পরের সপ্তাহে ফের শুনানিতে আসবেন খালেদা


৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১২:১১ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৮ ১৮:৩৬

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলা দুর্নীতি মামলার শুনানির পরের তারিখ আগামী ১০ ও ১১ জানুয়ারি। বৃহস্পতিবার আসামিপক্ষের সপ্তম দিনের শুনানি শেষে এই দিন ঠিক করে আদেশ দেন পুরান ঢাকার বকশিবাজারের বিশেষ  জজ আদালত।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। শুনানিতে খালেদা জিয়ার  আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী খান বলেন, টাকার উৎস না জেনেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলা চলতে পারে না। কিছু আইনি ব্যাখ্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার নথি গোঁজামিল দিয়ে তৈরি করা। এমনকি এ ফান্ডের টাকা যে বিদেশ থেকে এসেছে সেটাও প্রমাণ করতে পারেনি দুদক।

এর আগে, বেলা সাড়ে এগারটায় দুদকের দুই মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে আসেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মামলার শুনানি উপলক্ষে ঢাকার বকশিবাজারের বিশেষ আদালতে ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

বুধবার এ মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তা মুলতবি করে ঢাকার বিশেষ জজ ড. মো.আখতারুজ্জামান।

এ মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল ও মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু।

খালেদা পক্ষের আইনজীবীরা হলেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সেক্রেটারি মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সানাউল্লাহ মিয়া।

খালেদা জিয়া ছাড়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অপর পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকিরা জামিনে আছেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

সারাবাংলা/এআই/জেডএফ

খালেদা জিয়া_দুদক বকশিবাজার আদালত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর