রায় হয়নি, এমপিপুত্র রনির জোড়া খুনের মামলায় ফের শুনানি
৪ অক্টোবর ২০১৮ ১২:৫৬ | আপডেট: ৪ অক্টোবর ২০১৮ ১৩:৫২
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: সংসদ সদস্য পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনির বহুল আলোচিত জোড়া খুনের মামলায় রায় ঘোষণার করা থাকলেও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফের এই মামলার শুনানির তারিখ ঠিক করেছেন আদালত। আগামী ১৭ অক্টোবর এই মামলার শুনানি হবে। একইসঙ্গে আদালত এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকেও ফের তলব করেছেন ওই দিন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মাকসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর ফলে দ্বিতীয়বারের মতো পেছালো এমপিপুত্র রনির জোড়া খুনের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ। আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) এই মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল। এর আগে, গত ৮ মে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করা থাকলেও সেই তারিখ পিছিয়ে দেন আদালত।
এর আগে, বুধবার সকালে মামলার ‘গুরুত্বপূর্ণ’ একটি নথি আদালতে প্রদর্শনের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল ঈমাম আগামী ১৭ অক্টোবর এই মামলার শুনানির নতুন তারিখ ঠিক করেন। একইসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকেও হাজির হওয়ার নির্দেশনা দেন।
এর আগে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজ বুধবার দিন ঠিক করে দিয়েছিলেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল ঈমাম। এরও আগে, গত ৮ মে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করা ছিল। কিন্তু ওইদিন বিচারক স্বপ্রণোদিত হয়ে রায় ঘোষণার তারিখ বাতিল করে ফের যুক্তি উপস্থাপনের দিন ঠিক করেন। পরে ওই আদালতের বিরুদ্ধে আসামি পক্ষের বদলি মিস মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়।
মামলায় ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গত বছর ১৮ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়। এরপর ওই বছর ২৯ অক্টোবর আসামি রনি আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
গত ২০১৬ সালের ৬ মার্চ মামলাটিতে এ আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে আদালত চার্জগঠন করেন। ২০১৫ সালের ২১ জুলাই ডিবি পুলিশ রণির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলাটিতে বখতিয়ার আলম রনিকে তিন দফায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে ২০১৫ সালের ২ জুলাই আদালতে তাকে কারাগারে পাঠান। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে একটি কালো রঙের প্রাডো গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে তাতে অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী ও রিকশাচালক আবদুল হাকিম আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। ওই ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে রমনা থানায় ওই বছর ১৫ এপ্রিল একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সারাবাংলা/এআই/টিআর