৫৫ বছর পর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী নারী ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড
২ অক্টোবর ২০১৮ ২২:০৫ | আপডেট: ২ অক্টোবর ২০১৮ ২২:১৫
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
এবছর যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন কানাডার বিজ্ঞানী ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড। নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে ডোনা তৃতীয় নারী হিসেবে পদার্থবিদ্যায় এই পুরস্কার লাভ করেন। অন্য দুজনের মধ্যে মেরি কুরি ১৯০৩ সালে ও মারিয়া গোয়েপার্ট মায়ের ১৯৬৩ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। অর্থাৎ ডোনা ৫৫ বছর পর আবারও পদার্থে নোবেল বিজয়ী নারী।
এই ঘোষণা এমন সময় এলো যখন জেনেভার সার্ন গবেষণা কেন্দ্রের পদার্থবিদ আলেসহান্দ্রো স্ট্রোমিয়া, পদার্থবিজ্ঞান পুরুষদের হাতে গড়া বলে মন্তব্য করেন। যদিও এই মন্তব্যের জন্য পরবর্তীতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড ওই মন্তব্যকে বাতুলতা বলে উল্লেখ করেছেন। এসব বিষয় তিনি ব্যক্তিগতভাবে নেন না বলেও জানান।
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডোনা বলেন, এটা খুব অবাক করার মতো যে পদার্থবিজ্ঞানে একজন নোবেলজয়ী নারী পেতে এত সময় লাগলো!
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটার লু তে নিযুক্ত থাকা ডোনা নিজের অর্জন সম্পর্কে বলেন, ধারণাটাকে প্রথমত পাগলামি ভেবে আস্কারা দিতে হবে। আমি এভাবেই ভাবতাম। বাস্তবায়িত হলে বিষয়টি অবাক করার মতো হয়।
আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্স এক অভিনন্দন বার্তায় পদার্থবিদ্যায় নোবেল বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়েছে। ডোনা স্ট্রিকল্যান্ডের নোবেল জয় এ বছরকে আরও ঐতিহাসিক করে তুলেছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, পদার্থবিজ্ঞানে লেজার বিষয়ে যুগান্তকারী অবদান রাখায় যুক্তরাষ্ট্রের আর্থার আসকিন, ফ্রান্সের জেরার্ড মুউরো সাথে যৌথভাবে ২০১৮ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড।
আরও পড়ুন: পদার্থে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
আর্থার আসকিন জৈবিক পদ্ধতি গবেষণায় ব্যবহৃত অপটিক্যাল টুইজার্স হিসেবে লেজার কৌশল উন্নত করার জন্যে এবং মুউরো ও ডোনাকে উচ্চ তীব্রতা সৃষ্টি এবং খুব দ্রুত লেজার পালসের প্রক্রিয়া উন্নতি করতে কাজ করার জন্য নোবেল দেওয়া হয়। ক্যানসার রোগের চিকিৎসায় তাদের আবিষ্কার ভূমিকা রাখছে বলে জানায় নোবেল কমিটি।
সারাবাংলা/এনএইচ