‘জেদ ধরে রেখেছেন খালেদা, তাকে তো জোর করে ধরে আনা যায় না’
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৭:৪৭ | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:২১
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকাঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তো আর জোর করে ধরে নিয়ে আসা যায় না। এ কারণে তার অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) পুরানো ঢাকা নাজিম উদ্দিন রোডে কেন্দ্রীয় কারাগারের বিশেষ আদালতের আদেশের পর সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
এর আগে আদালত খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন।
আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আজকে জিয়া চ্যারিটেবল মামলার যুক্তিতর্কের তারিখ ছিল। এ মামলায় দুইজন আসামি উপস্থিত ছিলেন। বেগম জিয়া আজকেও আদালতে আসেন নাই। তিনি আসতে অনিচ্ছুক।
আইনজীবী বলেন, বেগম জিয়া বিরোধীদলীয় নেত্রী ছিলেন। তিনি একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তাকে তো আর জোর করে ধরে আনা যায় না। জেল কর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে হাজির করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।
এর আগেও একদিন তিনি আদালতে এসে বলেছিলেন, তিনি আর আসতে পারবেন না। সেই জেদ তিনি ধরে রেখেছেন।
তিনি বলেন, আমরা আদালতে বলেছি, একজন আসামি যিনি জেলখানায় আছেন, তিনি আদালতে আসবেন না। আর তাকে জোর করেও আনা যাচ্ছে না। এ রকম ক্ষেত্রে যদি আমরা মামলা পরিচালনা না করতে পারি তাহলে অন্যান্য আসামি, যারা জেলে আছে তারাও একই ইস্যুতে একই রকম বক্তব্য দিয়ে বিচারকে দীর্ঘায়িত করবে। এই দৃষ্টান্ত থেকে সরে আসা উচিত।
ফৌজদারী ৫৪০ কার্যবিধি অনুযায়ী কোন আসামি যদি আদালতে না আসে। তাহলে তার অনুপস্থিতিতে আইনজীবীর মাধ্যমে রিপ্রেজেন্ট করে বিচার করা যাবে।
মাননীয় আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে তার অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ঠিক করে দিয়েছেন।
জেল কর্তৃপক্ষ তো খালেদা জিয়াকে জোর করে ধরে অথবা আইন প্রয়োগ করে নিয়ে আসতে পারছেন না। তার মর্যাদার বিষয়টি বজায় রেখে এ ছাড়া কোন পথ নেই বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।
এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী সানা উল্লাহ মিয়া বলেন, এ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করবো। এখানে আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। এখানে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বেগম জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ শুরু করার আবেদন দিয়েছেন কিন্তু এ আবেদন দেওয়ার কথা আমাদের।
সারাবাংলা/এজেডকে/জেডএফ