Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সংসদের অনেক এমপিই বিএনপির নির্যাতনের শিকার, সংসদে প্রধানমন্ত্রী


৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৯:৪৪ | আপডেট: ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:১৩

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

 ঢাকা: প্রয়াত সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে অপারেশন ক্লিন হার্টের সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, সুজাকে ড্রিল দিয়ে পা ফুটো করা দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকেই তিনি অসুস্থতা নিয়ে বেঁচে ছিলেন। অবেশেষে মারা গেছেন। এই সংসদে আরও অনেক সংসদ সদস্যই রয়েছেন, যারা বিএনপি’র দ্বারা নির্যাতিত।

রোববার (৯ সেপ্টেম্বর ) বিকেলে জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা ও তাজুল ইসলাম চৌধুরীর ওপর আনীত শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দু’জন সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। মোস্তফা রশিদী খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি একজন ক্রীড়া অনুরাগী এবং প্রাণবন্ত সুদক্ষ নেতা ছিলেন। দুর্ভাগ্য, বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী ওপর যে অত্যাচার করে, সেই অত্যাচারে শিকার হয়েছিল মোস্তফা রশিদী। এমনকি তার ভাই ও শিশুসন্তানকে পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছিল অপারেশন ক্লিন হার্টের সময়। আরেক নেতা নেতা মাসুদকে তো মেরেই ফেলা হয়েছিল। ওই নির্যাতনের ফলেই সুজারও মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে খুলনা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক যে ক্ষতি হলো, সেটা পূরণ হওয়ার নয়।

তিনি আরও বলেন, এরকম অসংখ্যা নেতাকর্মীকে নির্যাতন করা হয়। ওই সময় প্রায় দেড়শ জনের মতো নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হন। তাদের অনেকেই এই সংসদে আছেন।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এই সংসদের আরও একজন সদস্যকে আমরা হারিয়েছি। তিনি বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ তাজুল  ইসলাম চৌধুরী। ২০১৪ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠানে তার বিরাট ভূমিকা ছিল। ওই সময় যে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছিল, সেই সংকট কাটিয়ে সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষায় তিনি ভূমিকা রেখেছেন। এই সংসদের প্রায় ১৫ জন সংসদ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন বলেও উল্লেখ করে সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

পরে সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ দুই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে শোক জানান। বিরোধী দলীয় চিফ হুইপের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, তাজুল ইসলাম একজন ভালো রাজনীতিবিদ তো বটেই, একজন চমৎকার মানুষও ছিলেন। তিনি ছিলেন জাতীয় পার্টির নয়নের মনি। তাকে হারিয়ে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূরণ হওয়ার নয়।

আরও পড়ুন-

সংসদে শোক প্রস্তাব গ্রহণ

সংসদ অধিবেশন শুরু, চলবে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রস্তাব সংসদ অধিবেশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর