রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চায় অস্ট্রেলিয়া
২৭ আগস্ট ২০১৮ ১৩:৪৫ | আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০১৮ ১৩:৪৬
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় ন্যায়বিচার চায় অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি রোহিঙ্গা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের শাস্তি চায় দেশটি। ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাস থেকে সোমবার (২৭ আগস্ট) পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।
নির্যাতিত, নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ উদারতার পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ করে বার্তায় বলা হয়, মিয়ানমারের রোহিঙ্গ নির্যাতনের ঘটনার সুবিচায় চায় অস্ট্রেলিয়া। যারা অমানবিক এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস মিশন এবং নিরপেক্ষ তদন্ত কাজে সমর্থন জানিয়েছে উল্লেখ করে ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাস জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস মিশন তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। ওই তদন্ত প্রতিবেদনের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন থাকবে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ওই বার্তায় বলা হয়, এই ঘটনায় মিয়ানমার সরকারের গঠন করা তদন্ত কমিটিকে স্বাগত জানাই। আশা করবো মিয়ানমারের তদন্ত কমিটি প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে সমর্থ হবে। পাশাপাশি আরো আশা করবো যে মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস দলসহ অন্য বৈশ্বিক তদন্ত সংস্থাগুলোর সঙ্গেও কাজ করবে। যাতে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিস্তারিত চিত্র উদঘাটন করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা যায়।
গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে জাতিগত নিধন কর্মসূচি চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। ওই সময়ে নির্যাতনের মাত্রা সইতে না পেরে, জীবন বাঁচাতে রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ঢল নামে বাংলাদেশ সীমান্তে। বাংলাদেশ মানবিক কারণে সীমান্তের দ্বার খুলে দেয়। গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে ৭ লাখেরও বেশি মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী কক্সবাজারের একাধিক শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
এর আগেও নির্যাতনের শিকার হয়ে ৪ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের একাধিক শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল। সব মিলিয়ে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের একাধিক শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
সারাবাংলা/জেআইএল/এমও