অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে: সম্পাদক পরিষদ
১৪ আগস্ট ২০১৮ ১৯:১২ | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০১৮ ১৯:৩৮
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: সম্পাদক পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ও সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের আকস্মিক মৃত্যুতে বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সম্পাদক পরিষদ (এডিটর’স কাউন্সিল)।
মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সম্পাদক পরিষদের পক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো শোকবার্তায় এ সব কথা জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পদক মাহফুজ আনাম।
শোকবার্তায় আরও বলা হয়েছে, এমন এক সময়ে তার মৃত্যু হয়েছে, যখন সাংবাদিকতায় তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা এবং নেতৃত্বের অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকের স্বাধীনতা রক্ষায় তিনি সারা জীবন অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন।তিনি ব্যক্তিগত জীবনে নীতি ও নৈতিকতার বিশুদ্ধ চার্চা করে গেছেন। একাধিক সাংবাদিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকায় সেখানেও নীতি ও নৈতিকতার চর্চার বিষয়ে সবােইকে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
গোলাম সারওয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ১৯৬২ সালে ছাত্র থাকা অবস্থায় আজাদী পত্রিকায় ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট হিসেব সাংবাদিকতা ক্যারিয়ার শুরু করেন। এ ছাড়া তিনি সংবাদ এবং দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায়ও কাজ করেছেন। ১৯৯৯ সালে গোলাম সারওয়ার যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক হন, এরপর ২০০৫ সালে সমকাল পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সমকাল পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য গোলাম সারওয়ারকে ২০০৪ সালে ‘একুশে পদক’ ভূষিত করা হয়।
এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম সারওয়ার সাংবাদিকতার গুণগত মানোন্নয়নে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
সাংবাদিকতা ছাড়াও গোলাম সারওয়ার বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের অ্যাপিলেট ডিভিশনের মেম্বার ছিলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবেও তিনি বেশ কয়েকবার দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি বেশ কয়েকটা বইও লিখেছেন। তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্য রয়েছে, ‘সম্পাদকের জবানবন্দি’, ‘অমিওগরল’, ‘আমার যত কথা’ ও ‘স্বপ্ন বেঁচে থাক’ ইত্যাদি।
দীর্ঘ পাঁচ দশকের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে গোলাম সারওয়ারের রেখে যাওয়া সমৃদ্ধ অর্জন পরবর্তী প্রজন্মকে সাংবাদিকতা চর্চায় উদ্বুদ্ধ করবে।
গোলাম সারওয়ারের মৃত্যুতে আমরা তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। পরম করুণাময়ের কাছে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।
সারাবাংলা/এমআই