Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শূন্য রেখায় থাকা রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবা দিতে নিষেধ মিয়ানমারের


১৩ আগস্ট ২০১৮ ২০:১৭ | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০১৮ ২০:১৯

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: দুই দেশের সীমান্তের শূন্য রেখায় অবস্থান করা প্রায় ৬ হাজার মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের কোনো ধরনের মানবিক সেবা দিতে নিষেধ করেছে নেপিডো। মিয়ানমারের এই প্রস্তাবে বাংলাদেশ কোনো মন্তব্য করেনি, তবে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। একাধিক কূটনৈতিক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পর্কে মিয়ানমার সরকারের প্রস্তুতি সরেজমিন দেখতে গত ৯ থেকে ১২ আগস্ট মিয়ানমার সফর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ওই সফরে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলের মন্ত্রী চ টিন্ট শোয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ওই বৈঠকে শূন্য রেখায় অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবা দিতে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়। প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির ঢাকার সদস্যরাও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলের মন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয় যে শূন্য রেখায় অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে ঢাকার সহযোগিতা প্রয়োজন। শূন্য রেখার রোহিঙ্গাদের যাতে ঢাকার পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো মানবিক সহায়তা না দেওয়া হয়। প্রয়োজনে ঢাকা নেপিডোর মাধ্যমে শূন্য রেখায় মানবিক সহায়তা পাঠাতে পারে। মিয়ানমারের এমন প্রস্তাবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে ইতিবাচক মনোভাব দেখানো হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে মন্ত্রী চ টিন্ট শোয়ের বৈঠক শেষে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিল থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয় রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে ৮টি বিষয়ে সম্মত হয়েছে দুইদেশ। সম্মত হওয়া ৮টি বিষয়ের ৫ নম্বর সম্পর্কে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শূন্য রেখায় অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে দুদেশ একে অপরকে সহযোগিতা করবে।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সোমবার (১৩ আগস্ট) তার দপ্তরে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘খুব দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আশাবাদি। মিয়ানমারও এই বিষয়ে বেশকিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।’

সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই

মিয়ানমার রোহিঙ্গা শূন্য রেখা