জাবালে নূরের ৬ বাস জব্দ
১১ আগস্ট ২০১৮ ১৩:১২ | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০১৮ ১৩:৩৩
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: রুট পারমিট বাতিল হওয়া সত্ত্বেও বাস চালানোর অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে জাবালে নূর পরিবহনের ছয়টি বাস জব্দ করেছে র্যাব-১ ও র্যাব-৪। রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় এই পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল করেছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) সদর দফতরের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানিয়েছে, শনিবার (১১ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে গাড়িগুলো জব্দ করেছে। এর মধ্যে মিরপুরে র্যাব-৪ ও উত্তরায় র্যাব-১ তিন করে গাড়ি জব্দ করে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা এলাকায় জাবালের নূর পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে একটি বাস ফুটপাতে উঠে গেলে সেখানে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ কয়েকজন শিক্ষার্থী সেই বাসের নিচে চাপা পড়ে। এ সময় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল করিম ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী দিয়া খানক মীম মারা যায়, আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজপথে আন্দোলনে নামে। এ সময় তারা সড়কে বিভিন্ন যানবাহন ও এগুলোর চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা করে।
এদিকে, দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত জাবালে নূর পরিবহনের দুইটি বাস জব্দ করা হয়। সেগুলোর লাইসেন্স ও ফিটনেস বাতিল এবং আরও তিনটি বাসের রেজিস্ট্রেশন সাময়িক বাতিল করা হয়। জাবালে নূর পরিবহনেরও রুট পারমিট বাতিল করা হয়। এর মধ্যে জাবালে নূর পরিবহনের ওই বাসের মালিক এবং রেষারেষিতে জড়িত বাসগুলোর চালক ও হেলপারদের আটক করা হয়। তাদের সবার রিমান্ডও মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এরই মধ্যে ঘাতক বাসের মালিক মো. শাহাদত হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেছেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই-বাছাই ছাড়াই চালক নিয়োগ দিয়েছিলেন তিনি। অনুপযুক্ত চালক নিয়োগের কারণেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ঘাতক বাসের চালক মাসুম বিল্লাহও। অন্য বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বেপরোয়া হয়ে ওঠার কারণে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয় বলে স্বীকার করেন তিনি। এ ছাড়া বিআরটিএ’র এক তদন্ত প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে, বেপরোয়া ও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে গাড়ি চালানোর জন্যই দুই শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছে।
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর