দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: বাস মালিকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
৯ আগস্ট ২০১৮ ১৮:৪৭ | আপডেট: ৯ আগস্ট ২০১৮ ১৮:৪৮
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জাবালে নূর বাসের মালিক মো. শাহাদত হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম সাত দিনের রিমান্ড শেষে শাহাদত হোসেনকে আদালতে হাজির করেন। শাহাদত হোসেন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্বীকারোক্তিতে মালিক শাহদাত হোসেন জানান, তিনি জাবালে নূর পরিবহনের ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৯২৯৭ নম্বর বাসের মালিক। তার ওই বাসের ড্রাইভার ছিলেন মাসুম বিল্লাহ। তিনি জাবালে নূর কোম্পানির সভাপতি মো. জাকির হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নোমান ও ডিএমডি অলি আহমেদের পূর্ব পরিচিত এবং তাদের অনুরোধেই চালক মাসুম বিল্লাহর ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই বাছাই ছাড়াই নিয়োগ প্রদান করেন। তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাইবাছাই না করে অনুপযুক্ত চালক নিয়োগ করার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত ২ আগস্ট শাহাদত হোসেনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্টো-১১-৯২৯৭ এর অজ্ঞাত চালক, আরও অজ্ঞাতনামা জাবালে নূর পরিবহনের কয়েকটি বাসের সঙ্গে বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালিয়ে হোটেল রেডিসনের বিপরীত পাশে জিল্লুর রহমান ফ্রাইওভারের পাশে বাসে ওঠার অপেক্ষায় থাকা শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪/১৫ জন ছাত্র ছাত্রীর উপর গাড়িটি তুলে দেয় গুরুতর আহত করে চালক পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় গুরুতর আহতদের মধ্যে উক্ত কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজীব মারা যায়। এছাড়া আরও কয়েকজন বর্তমানে গুরুত্বর আহত অবস্থায় সিএমএইচ হাসাপতালেসহ ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ওই ঘটনায় গত ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: আদালতে জাবালে নূরের চালকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
সারাবাংলা/এআই/এমও