Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শহিদুল আলমকে দ্রুত বিএসএমএমইউয়ে ভর্তির নির্দেশ


৭ আগস্ট ২০১৮ ১৬:২৩ | আপডেট: ৭ আগস্ট ২০১৮ ২১:৫২

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: প্রখ্যাত আলোকচিত্রী এবং দৃক ও পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমকে দ্রুত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করে চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া, আগামী বৃহস্পতিবারের (৯ জুলাই) মধ্যে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) শহিদুল আলমের রিমান্ড চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার সারা হোসেন।

আরও পড়ুন- আদালতের অনুলিপি নেয়নি ডিবি-ডিএমপি: শহিদুল আলমের আইনজীবী

আদেশের পরে ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, ড. শহিদুল আলমের সঙ্গী রেহনুমা আহমেদ হাইকোর্টে রিমান্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে ড. শহিদুল আলমকে দ্রুত বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এবং তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ডিবি, ওসি রমনা থানার প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  তিনি বলেন, সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে পরিষ্কার করে বলা আছে কোনো অবস্থায় কখনো কাউকে নির্যাতন, অমানষিক দণ্ড বা ওইরকম ব্যবহার করা যাবে না।

 যেহেতু আদালত মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট চেয়েছেন আদালত তাহলে ধরেই নিতে পারি এ পর্যন্ত রিমান্ড স্থগিত।

তিনি বলেন, গতকাল শহিদুল আলমকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি কোর্টের সামনে জানান, তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। সারারাত হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়েছে। মুখের ওপর ঘুষি মারা হয়েছে। এমনকি রেহনুমা আহমেদকে উঠিয়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। খালি পায়ে তাকে কোর্টে আনা হয়েছে। তখন তিনি দাঁড়াতেও পারছিলেন না। এ অবস্থায় তাকে আদালতে আনা হয়। আদালত তার এ বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেননি। ডাক্তারি পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থাও করেননি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ হাইকোর্টে আসা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, সোমবার শহিদুল আলমকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই দিনই তার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান। মামলার এজাহারে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন নিয়ে ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ও উসকানি ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।

গত রোববার (৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহিদুল আলমকে তার বাসা থেকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পুলিশের অ্যাডিশনাল কমিশনার কাজী শফিউল আহমেদের বরাত দিয়ে শহিদুল আলমের পার্টনার অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ সারাবাংলা’কে বলেন, একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শহিদুল আলমকে আটক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-

শহিদুল আলমের রিমান্ড চ্যালেঞ্জ করে রিট

জামিন পেলেন না শহিদুল আলম, ৭ দিনের রিমান্ড

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

শহিদুল আলম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর