Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাহাড় ছাড়তে চাইছে না লোকজন


২৮ জুলাই ২০১৮ ২০:৫৭

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।

কক্সবাজার: ভারি বর্ষণে কক্সবাজার শহরসহ বেশ কিছু এলাকায় পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কা থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে জেলা প্রশাসক। আর এই কার্যক্রম সম্পন্ন করতে মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসনের ১২টিম। ঝুকিপূর্ণদের নিরাপদস্থানে সরিয়ে রাখতে খোলা হয়েছে ১২টি আশ্রয় কেন্দ্র।

কিন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে আগ্রহী নন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা লোকজন। তাই প্রশাসনের বেগ পেতে হচ্ছে লোকজনকে সরিয়ে নিতে। তাই বাধ্য হয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন।

এদিকে পাহাড়ে থাকা লোকজন বলছেন, তাদের থাকার জায়গা নেই। তারা কোথায় যাবে। তাই পাহাড় ছাড়ছে না। এমই চিত্র ফুটে উঠে পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে।

শনিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে থেকে বিকাল পর্যন্ত শহরের লিংকরোড বিসিক এলাকা সহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকার প্রায় শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঘর অপসারণ করা হয় ।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমানের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান।

তিনি জানান, ভারি বর্ষণের কারণে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ে ফাটল ও পাহাড় ধ্বস অব্যাহত রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতা শুক্রবার রাতে বিসিক এলাকার একটি পাহাড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেখানে থাকা প্রায় শতাধিক পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তাদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাহাড় ধস মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা হওয়ার পরেও লোকজন নিরাপদে সরতে চাইছে না।

পাহাড়ে থাকা লোকজন বলছেন, তাদের স্থায়ী নিরাপদ আশ্রয় না দিলে পাহাড় ছাড়বে না।

বিজ্ঞাপন

শহরের বৈদ্যঘোনার পাহাড়ে বসবাস করা রাবেয়া খাতুন জানান, তার স্বামী দিনমজুর। তিনি ৪ সন্তান নিয়ে পাহাড়ের ঢালে ১ ঘণ্টা জায়গা ক্রয় করে কোনোভাবে বসবাস করছেন। তাকে ওখান থেকে উঠিয়ে দিলে থাকার কোনো জায়গা থাকবে না।

মৃত্যুর আশঙ্কা থাকার পরেও কেন পাহাড়ে বসবাস এমন প্রশ্নে লিয়াকত মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, ‘বেশি বৃষ্টি হলে নিরাপদ স্থানে সরে যাই। আর বৃষ্টি কমে গেলে আবার ফিরে আসি’ এছাড়া সবই আল্লাহর ইচ্ছা।

এ ব্যাপারে কক্সবাজারের দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. আলী কবির জানান, টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে ধ্বসে পড়ে। প্রায় ৬ একরের দেড়শত ফুট এই উঁচু পাহাড়টির কিছু অংশ কেটে ফেলে স্থানীয়রা। এতে বৃষ্টির পানি সহজে পাহাড়ের মাটির বেতর ঢুকে পড়ায় পাহাড়টি ধসে পড়ে  ও অন্য একটি একটি অংশ দুই ভাগে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটলরত পাহাড় যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।

সারাবাংলা/একে

কক্সবাজার পাহাড়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর