Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার পরবর্তী শুনানি ৩ সেপ্টেম্বর


২৫ জুলাই ২০১৮ ২০:৪৩

আদালতে খালেদা জিয়া

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: নাইকো দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বুধবার (২৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ মাহমুদুল কবীরের আদালতে মামলাটির ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদর পক্ষের অভিযোগ গঠণ শুনানি দিন ধার্য ছিল। এদিন তিনি আদালতে হাজির ছিলেন। তিনি নাইকো দুর্নীতির মামলার কিছু ডকুমেন্ট পেতে আবেদন করেন। প্রথমে আদালত তার সেই আবেদন নথিভূক্ত করেন। পরবর্তীতে সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন। ওই নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে মওদুদ আহমদ হাইকোর্টে যাবেন জানিয়ে সময় চান। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির তারিখ এ নতুন তারিখ ঠিক করেন।

এদিকে এ মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অন্য মামলায় কারাগারে থাকার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। তিনি খালেদা জিয়ার পক্ষে হাজিরা প্রদান করেন।

মামলাটিতে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, বাপেক্সের প্রাক্তন সচিব মো. শফিউর রহমান এবং প্রাক্তন সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইনের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অভিযোগ শুনানি করে তাদের অব্যাহতির আবেদন করেছেন। আর খালেদা জিয়াসহ পাঁচ আসামির পক্ষে চার্জশুনানি হয়নি।

এদিকে খালেদা জিয়া অন্য মামলায় কারাগারে আটক আসেন সেই বিষয়ে আদালতকে অবহিত করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। এই মামলার শুরু থেকে তিন আসামি পলাতক।

বিজ্ঞাপন

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ০৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

গত ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।

অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। নাইকো ছাড়াও গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক পৃথক রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া। এসব রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক। পরে গত বছর পৃথক পৃথক শুনানি শেষে মামলা তিনটি সচলের রায় দেন হাইকোর্ট।

অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলেন- সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্স্’র সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

সারাবাংলা/এআই/এমঅাই

বিজ্ঞাপন

খালেদা জিয়া

বিজ্ঞাপন

শেষ কবে এতটা নিচে ছিলেন কোহলি?
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৪

আরো

সম্পর্কিত খবর