‘২০২১ সালের মধ্যে ফাইভ-জি চালু’
৮ আগস্ট ২০১৮ ১৮:৩৮
।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে আমরা ৫-জি প্রযুক্তি চালু করতে পারবো।’ আজ বুধবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল রেডিসনে আয়োজিত এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ খাতের ১৮তম এপিটি পলিসি এবং রেগুলেটরি ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
আইটিইউ ও এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেলিকম সংস্থার (এপিটি) উদ্যোগে এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও বিটিআরসির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের আন্তর্জাতিক এই সম্মেলন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মোবাইলের উন্নত প্রযুক্তি গ্রহণ করেছি যদিও তা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা পরে। তবে আমরা এবার ৫-জিতে পিছিয়ে থাকবো না। ৪-জি এর পর সম্প্রতি আমরা ৫-জি এর অপারেশন চালিয়েছি। এর সুফল পাওয়া যাবে অচিরেই।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘এই দেশকেই (বাংলাদেশকে) এক সময় তলাবিহীন ঝুড়ি, দুর্ভিক্ষের দেশ বলা হতো। সেই বাংলাদেশ এখন দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে প্রথম দেশ, যে দেশ নামের আগে ডিজিটাল শব্দ ব্যবহার করে। অথচ এই দেশকেই এক সময় তলাবিহীন ঝুড়ি, দুর্ভিক্ষের দেশ বলা হতো।’
এপিটি পলিসি এবং রেগুলেটরি ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবাবা ২০১৫ সালে কেনিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি বিস্ময়কর। বিশ্ব এখন বুঝতে পারে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা।
মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘আমাদের যা জনসংখ্যা একদিকে তা যেমন সম্পদ তেমনি অন্যদিকে তা আবার চ্যালেঞ্জও। আমাদের এই জনসম্পদকে ব্যবহার করতে হবে, প্রযুক্তির সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। আগামী দিনে প্রযুক্তি আমাদের যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করাবে তা আমাদেরই মোকাবিলা করতে হবে। তা না হলে আমরা পিছিয়ে পড়তে পারি।’
এপিটি পলিসি এবং রেগুলেটরি ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
১৮তম এপিটি পলিসি এবং রেগুলেটরি ফোরামে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য উচ্চপর্যায়ের টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত নীতিমালা, রেগুলেটরি ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া ২০১৮-২০ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলের জন্য টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি সংক্রান্ত কৌশলপত্র প্রণয়নের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হবে। ডিজিটাল অর্থনীতিতে উদীয়মান প্রযুক্তির প্রবণতাসহ পলিসি, রেগুলেটরি চ্যালেঞ্জ ও উদ্ভাবন বিষয়ে আলোকপাত করা হবে অনুষ্ঠানে।অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) বিভিন্ন দেশের রেগুলেটর প্রধান, সংস্থা প্রধান, অপারেটর, টেলিকম ও আইসিটি বিশেষজ্ঞসহ প্রায় ১৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।
সারাবাংলা/ এসবি