অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান বন্ধে নীতিমালা তৈরির নির্দেশ
৩০ জুন ২০১৯ ১৫:২৭ | আপডেট: ৩০ জুন ২০১৯ ১৯:২২
ঢাকা: সন্তানসম্ভবা মায়েদের অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান বন্ধ করতে নীতিমালা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
এক আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার (৩০ জুন) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান রোধে নির্দেশনা চেয়ে আদালতে রিট আবেদন করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাসনা ইমাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পূরবী রানা সাহা।
পরে ব্যারিস্টার রাসনা ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দেশে অনেক বেশি পরিমাণ সিজারিয়ান হচ্ছে। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) সুপারিশ হচ্ছে শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগের বেশি সিজারিয়ান কোনো দেশে হতে পারে না। সেখানে আমাদের দেশে ৩১ শতাংশ সিজারিয়ান হচ্ছে।
রাসনা ইমাম বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালে ৮৩ শতাংশ, সরকারি হাসপাতালে ৩৫ শতাংশ, এনজিও হাসপাতালে ৩৯ শতাংশ সিজারিয়ান হয়ে থাকে। এভাবে সিজারিয়ান বৃদ্ধি পাওয়া আমাদের জন্য সতর্ক সংকেত বলেও উল্লেখ করেন এ আইনজীবী। এটা থামাতে এই মামলা করা।’
মামলার শুনানি নিয়ে আদালত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এক মাসের মধ্যে কমিটি গঠন করে আগামী ছয় মাসের মধ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করে তা আদালতে দাখিল করতে বলেছেন আদালত। ওই নীতিমালার মূল বিষয় হবে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশনগুলো হচ্ছে তার হার বাড়ছে তা কমানো।
এক প্রশ্নের জবাবে এ আইনজীবী বলেন, ‘শুনানিতে আমরা চীন এবং ব্রাজিলের উদাহরণ টেনে আদালতে বলেছি, চীনের সিজারিয়ানের বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ছিল। পরে তাদের সরকারি নীতিমালার কারণে এই মাত্রা কমে যাচ্ছে। যেমনটি ব্রাজিলেও হয়েছে।’
সিজারিয়ান হার বাড়ার অন্যতম কারণ হলো প্রাইভেট হাসপাতালের ব্যবসা করার চিন্তা বলেও আদালত মন্তব্য করেছেন বলে তিনি জানান।
সারাবাংলা/এজেডকে/একে