ভারতে উঠে গেলো পেঁয়াজ, ডাল, আলু মজুতের সীমা
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:১৫ | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২২:১৪
ভারতে পেঁয়াজ, ডাল, আলু মজুতের সীমা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশটির রাজ্যসভায় এ সংক্রান্ত ‘অ্যাসেনসিয়াল কমোডিটিস অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২০’ পাস করা হয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে, এ আইন পাসের ফলে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ৬০ বছর পুরনো মজুতদারি রোধের আইনটি বিলুপ্ত হলো। আগের আইনে ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট পরিমাণের এসব পণ্য ৩০ দিনের বেশি মজুত রাখলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হতো। কিন্তু নতুন আইনে পেঁয়াজ, ডাল, আলু মজুতের যে সীমা নির্দিষ্ট করা ছিলো তা নেই। ফলে দেশটিতে কোনো আপাতকালীন পরিস্থিতি ছাড়া এসব পণ্য মজুত করায় কোনো বাধা রইলো না।
ভারতের সংবাদমাধ্যমসূত্রে আরও জানা যায়, পেঁয়াজ, ডাল, আলুসহ আরও কয়েকটি কৃষি ও খাদ্যপণ্য দেশটিতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকাভুক্ত ছিলো। কিন্তু এই বিলে এগুলো আর অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মধ্যে নেই।
আলোচিত এই বিলটি পাসের পর ভারতের কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বলেছেন, বহুল-কাঙ্ক্ষিত ‘অ্যাসেনসিয়াল কমোডিটিস অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২০’ পাসের ফলে কৃষিক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। নতুন এই আইনে চাষি ও ক্রেতা দু’পক্ষই লাভবান হবেন। এসব পণ্যে মজুতের সীমা না থাকার ফলে এবার থেকে কৃষকদের পাশাপাশি মজুতকারী ও ব্যবসায়ীরাও সুবিধা পাবে।
যদিও এইসব পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এইসব পণ্যের মজুত, বিক্রি ও অন্যান্য বিষয়ের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। সংশোধনীতে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বলতে অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধি, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষের মতো ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে বিরোধীদলগুলো এই বিলটি প্রস্তাবের পর থেকেই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার। তাদের বক্তব্য এই বিল মজুতদারদের সুবিধার জন্য। এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কিন্তু বুধবার বিরোধীদল রাজ্যসভা অধিবেশন বয়কট করায় এই বিলটি পাশের সময়ে আর কোনো উচ্চবাচ্য হয়নি।