চীন-ভারত দ্বন্দ্বে মধ্যস্থতা করতে আমেরিকা প্রস্তুত: ট্রাম্প
২৭ মে ২০২০ ১৮:৫৫ | আপডেট: ২৮ মে ২০২০ ০১:০৭
ভারত ও চীনের মধ্যকার চলমান সীমান্ত দ্বন্দ্বে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে আমেরিকা ইচ্ছুক এবং প্রস্তুত। সেদেশের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় এমন এক প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে ভারত ও চীন কোনো দেশই এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে এমন কোনো প্রস্তাব দেয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প আগ বাড়িয়েই মধ্যস্থতা করার এমন প্রস্তাব দিলেন।
বুধবার (২৭ মার্চ) এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প লিখেন, ‘আমরা ভারত ও চীন দুই দেশকেই জানিয়েছি- তাদের মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান সীমান্ত বিরোধের মধ্যস্থতা বা সালিশি করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত, ইচ্ছুক ও সক্ষম। ধন্যবাদ!’
উল্লেখ্য, ভারত ও চীনের প্রায় ৩৫০০ কিলোমিটার সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সম্প্রতি লাদাখ ও উত্তর সিকিমের বিভিন্ন এলাকায় দুই দেশই সেনা ও যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন বাড়িয়েছে। ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উপগ্রহের পাঠানো ছবিতে দেখা গেছে, লাদাখ সীমান্তে ব্যাপক সেনা তৎপরতা বাড়িয়েছে চীন। ছবিতে দেখা গেছে প্যানগং লেক থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে চিনা বিমান ঘাঁটিতে অস্থায়ী পরিকাঠামো নির্মাণ চলছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় কয়েক হাজার সেনা বাড়িয়েছে দেশটি।
We have informed both India and China that the United States is ready, willing and able to mediate or arbitrate their now raging border dispute. Thank you!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) May 27, 2020
সীমান্তে যখন এমন পরিস্থিতি তখন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মঙ্গলবার তার দেশের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধ প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দেশটির সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে লাদাখ সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। চীনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতও সীমান্তে শক্তিবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে।
গত ৫ মে ভারত-চীন সীমান্তের সিকিম এলাকায় দুই দেশের জওয়ানরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে আহত হওয়ার পরই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানা গেছে, ওই দিন উত্তর সিকিমের নকুলায় শতাধিক জওয়ান কিল-ঘুষিতে জড়িয়ে যান। তবে হাতাহাতি ছাড়া বড় কোন সংঘর্ষ হয়নি।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে কাশ্মির ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তান দ্বন্দ্ব যখন চরমে, তখনও নিজ থেকে এমন এক প্রস্তাব দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।