Saturday 04 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অবকাঠামোর হাত ধরেই দেশের অর্থনীতিতে বুমিং হবে


২০ জুন ২০১৮ ১৯:১৮ | আপডেট: ২০ জুন ২০১৮ ২২:৩৯

দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে, কিছু কাজ চলছে। এই অবকাঠামোর হাত ধরেই দেশের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি আসবে, যা ২০২৮-২৯ সাল নাগাদ ১০ শতাংশে উন্নীত হবে। এই অবকাঠামোর হাত ধরেই বুমিং হবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। আর চলমান অবকাঠামোগুলোর বাস্তবায়ন হলে এই বুমিং অবস্থা টেকসই হবে। বুধবার (২০ জুন) সারাবাংলা ডটনেটকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নিজ কার্যালয়ে মন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নেন সারাবাংলা’র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট জোসনা জামান

বিজ্ঞাপন

কিছুদিন আগেই আইএমএফের সভাপতি বলেছেন, বাংলাদেশের ইকনোমি ইজ বুমিং নাউ। অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনও বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বুমিং। এসব মন্তব্যের উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির এই বুমিং অবস্থার পেছনে ভূমিকা রাখছে দেশের অবকাঠামোর উন্নয়ন।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অকাঠামো নির্মাণ শেষ হলে বড় অঙ্কের প্রবৃদ্ধি আসবে। পদ্মা সেতু, পায়রা বন্দর, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ হলে এবং এলএনজি টার্মিনাল চালু হলে উন্নয়নশীল এলাকার জন্য শিল্প খাতে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। কল্পনাতীত পরিমাণে বিনিয়োগ আসবে, বিনিয়োগ আসতে বাধ্য। বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা সবাই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। অবকাঠামোগুলো হয়ে গেলেই তারা বিনিয়োগ করবেন।

মন্ত্রী জানান, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ হলে সেখানে অনেক বিনিয়োগ আসবে। মিরেরসরাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ আসবে। পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ার পর প্রায় ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি আসবে। একইভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ের মতো চলমান প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন শেষ হলে দেশের অর্থনীতির গতি আরো বাড়বে। এগুলোর হাত ধরেই দেশের অর্থনীতিতে বুমিং হবে।

দেশের রফতানি পণ্যের প্রসার ঘটানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, রফতানি বিকেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে। বর্তমানে পোশাক শিল্পনির্ভর রফতানি থেকে বেরিয়ে বহুমুখীকরণ করা হচ্ছে। চামড়া ও চামড়ানির্ভর পণ্য, ওষুধ, মাছ, সবজিসহ রফতানির সম্ভাবনা যেখানে আছে, সেখানেই সুবিধা দেওয়া হবে। রফতানমুখী প্রবৃদ্ধির দিকে আমরা যাচ্ছি। এখন সময় এসেছে এক্সপোর্ট লেড গ্রোথের। সেবা খাত, অর্থাৎ পর্যটন খাতে উন্নয়ন করা হবে। কক্সবাজারের অর্ধেক দেওয়া হবে বিদেশিদের হাতে। এই খাত এতদিন জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে তেমন কোনো ভূমিকা রাখেনি। এখন অনেক বড় ভূমিকা রাখবে।

বিজ্ঞাপন

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের মাধ্যমেও প্রবৃদ্ধি আসবে বলে আশাবাদ জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা অনেক সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছি। সংস্কার থেকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি আসবে। আর্থিক খাতের সংস্কার করা হবে। তাছাড়া শিক্ষা খাত ও জাতীয় রাজস্ব খাতে সংস্কার করা হবে। করের হার কমাতে হবে। আমাদের মধ্যবিত্ত রয়েছে দুই কোটি। এর ১০ শতাংশও কর দেয় না। সবাইকে কর দিতে হবে। রেট কমলে সবাই কর দেবে।

ব্যক্তি বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলেও প্রত্যাশার কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের বেসরকারি বিনিয়োগ একেবারেই কম ছিল। এখন অন্য সব সময়ের চেয়ে বেসরকারি বিনিয়োগ বেশি। ব্যক্তি বিনিয়োগে নেগেটিভ কোনো প্রবৃদ্ধি নেই। এখন আমাদের জিডিপির আকার বড় হচ্ছে। আগে জিডিপি ছিল ১০০ বিলিয়ন ডলার। এখন ২৭৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। এই ২৭৫ বিলিয়ন ডলারের সঙ্গে সেই বিনিয়োগটি সমানতালে বাড়ছে না। বিনিয়োগ কিন্তু কমেনি।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

বিজ্ঞাপন

না ফেরার দেশে অঞ্জনা
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৪

এই তাসকিনকে সমীহ করবেন যে কেউ
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৭

আরো

সম্পর্কিত খবর