দুদকের এনামুল বাছির গ্রেফতার
২২ জুলাই ২০১৯ ২৩:২৩ | আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৯ ২৩:৪৪
ঢাকা: পুলিশের বিতর্কিত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান মিজানের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের বরখাস্ত হওয়া পরিচালক এনামুল বাছির গ্রেফতার হয়েছেন।
রাজধানীর মিরপুর দারুস সালাম এলাকার একটি বাসা থেকে সোমবার (২২ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় দুদকের পরিচালক মো. ফানাফিল্যার নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করে।
দুদক পরিচালক ফানাফিল্যা সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য সারাবাংলাকে জানান, রাতে এনামুল বাছিরকে রমনা থানায় রাখা হবে। সকালে তাকে আদালতে তোলা হবে।
ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পরদিন এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করা হলো।
গত ১৬ জুলাই দুদক ওই দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দায়ের করা এ মামলার এজাহারে বলা হয়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায় থেকে বাঁচার জন্য ডিআইজি মিজানুর অসৎ উদ্দেশ্যে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে খন্দকার এনামুল বাছিরকে প্রভাবিত করেন। রাজধানীর রমনা পার্কে এই অর্থ লেনদেন করা হয়।
এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় গত বছরের জানুয়ারিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মিজানকে। এর চার মাস পর তার সম্পদ অনুসন্ধানে নামে দুদক। সেই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান কমিশনের পরিচালক এনামুল বাছির।
মিজানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলার মধ্যেই ডিআইজি মিজান গত ৮ জুন দাবি করেন এনামুল বাছির তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
এর সপক্ষে তাদের কথপোকথনের কয়েকটি অডিও ক্লিপ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই অডিও প্রচার হওয়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা।
অভিযোগটি অস্বীকার করে বাছির দাবি করেন, তার কণ্ঠ নকল করে ডিআইজি মিজান কিছু ‘বানোয়াট’ রেকর্ড একটি টেলিভিশনকে সরবরাহ করেছেন।
অন্যদিকে ডিআইজি মিজান বলেন, সব জেনেশুনেই তিনি বাধ্য হয়ে কাজটি করেছেন।
ঘুষের অভিযোগ ওঠার পর তাদের দুজনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পাশাপাশি দেশত্যাগে জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা।
অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফানাফিল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করে দুদক।
সারাবাংলা/এসজে/একে