১২ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:২৬ | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৩১
ফুল বিজুতে ভাসিয়ে দেওয়া ফুলে জানানো হলো বিশ্বশান্তি আকুতি।
বিদায়ের পথে বঙ্গাব্দ ১৪৩০। সবাই এখন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বরণের অপেক্ষায়। এরই অংশ হিসেবে পাহাড়ে শুরু হয়েছে ফুল বিজু। পুরনো বছরের দুঃখ-গ্লানি মুছে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এই উৎসবে নদীতে ফুল ভাসায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠী। সেই সঙ্গে কামনা করা হয় জগতের সকল প্রাণির মঙ্গল।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে রাঙ্গামাটির রাজবন বিহার ঘাট, গর্জনতলী, কেরানি পাহাড়, আসামবস্তিসহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় নানা বয়সী নারী-পুরুষ ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে কলা পাতায় ফুল সাজিয়ে ভাসিয়ে দেন কাপ্তাই হ্রদে। এরপর বিজু ও গজ্যাপজ্যা (নববর্ষ) পেরিয়ে জলকেলির মাধ্যমে সমাপ্ত হবে পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা। শুক্রবার সকালে রাঙ্গামাটিতে ফুল বিজুর কিছু মুহূর্ত থাকছে ছবিতে—
-
-
ভোরে মা গঙ্গা দেবীর উদ্দেশে নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ফুল বিজু।
-
-
উৎসবে পাহাড়ি নারীদের পরনে ছিল বাহারি রঙের পিনন-হাদি, ছেলেদের পরনে ধুতি-পাঞ্জাবি।
-
-
ফুল বিজুতে চেঙ্গী, মাইনী, কাচালং ও কর্ণফুলী নদীসহ পাহাড় থেকে নেমে আসা ছড়াগুলোতে ফুল ভাসান পাহাড়িরা। ছবিতে লংগদুতে কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসাচ্ছেন চাকমা নারীরা।
-
-
ফুল ভাসিয়ে গঙ্গা দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হয়, নতুন বছরে যেন সবাই সুখে-শান্তিতে থাকতে পারেন।
-
-
এ দিন সকালে কেরানি পাহাড়েও ফুল ভাসাতে জড়ো হয়েছিলেন বিভিন্ন বয়সী হাজারও পাহাড়ি নারী-পুরুষ।
-
-
ফুল বিজুর পর শনিবার মূল বিজু আর এর পরদিন গজ্যাপজ্যা বিজু বা বর্ষবরণ উদ্যাপন করবেন পাহাড়িরা।
-
-
ফুল বিজুতে ভাসিয়ে দেওয়া ফুলে জানানো হলো বিশ্বশান্তি আকুতি।
চাকমা
টপ নিউজ
পাহাড়ে বর্ষবরণ
ফুল বিজু
বর্ষবরণ উৎসব
বিজু