Sunday 05 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দখল


২০ এপ্রিল ২০২৩ ২২:১৪

জানিস, বিটুদা না পাগল হয়ে গেছে!
বলিস কী রে? পাগল! কবে? কখন? সুরুজের কথায় প্রতিত্তর করে অভি।
দেখিস না, গত তিন-চার দিন ধরে কোনও পাত্তা নেই। সুরুজ বলে।
ভলুর চোখ জামতলার রসগোল্লা হয়ে ওঠে। জিজ্ঞাসা করে পুরো ন্যাংটা হয়ে ঘুরেফিরে?
মাথায় একটা গাট্টা মেরে অভি বলে ধুর! ছাগল। পাগল হলেই বুঝি মানুষ ন্যাংটা হয়ে ঘুরে?
উউফফ শব্দ করে ওঠে ভলু। গাট্টার জায়গাটা হাতের তালু দিয়ে মালিশ করতে করতে মুখ খিচিয়ে বলে, এমন লোহার মতো আঙুল তোর! ইশশ!
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মলয় যেন এবার হাতে মাইক পায়।
তাই তো, গত চারদিন ধরে বিটুদা তো দিব্যি লাপাত্তা! তা ব্যাপারটা একটু খুলে বল দেখি। সুরুজের কাছে জানতে চায় সবাই।
বাদলা মাঠের এক পাশটায় ইটের সারি। উত্তর দিকের প্রাইমারি স্কুলের কাজ চলছে। সেই ইটের ওপর বসে অভি, সুরুজ ও মলয়। নিচে দাঁড়িয়ে ভলু। মোটা স্বাস্থ্যের জন্য উপরে জায়গা হয়নি। একটু তফাতে দাঁড়িয়ে কাঁঠাল গাছের পাতা ছিঁড়ছে খায়রুল। কিছুক্ষণ আগে একপশলা ঝগড়া হয়ে গেছে অভির সঙ্গে। তাই পাশে ঘেঁষতে পারছে না। কারণ এ দলের অঘোষিত নেতা অভি।
মাঠের পাশ দিয়ে সাপের মতো একেবেঁকে গেছে পাকা সরু রাস্তা। দুই-একটা সাইকেল, রিকশা, অটো এফোঁড় ওফোঁড় চলে গেল। হঠাৎ মোটরসাইকেলে চেপে পাশের পাড়ার মজনু এসে অভিদের সামনে এসে ব্রেক কষে। পেছনে নারু বসা। ভ্রু ইশারায় নারুদা অভির দিকে তাকিয়ে বলল, “তোদের বিটুদাকে বলবি, আজ বিকালে যেন ক্লাবে এসে দেখা করে। মাসুদ ভাইয়ের অর্ডার। বুঝলি?”
কাটা মাসুদের সাঙ্গপাঙ্গদের ভয় পায় না এই গ্রামের কেউ বেঁচে নেই। অভিদের বাসার কুকুরটা পর্যন্ত খেঁউ খেঁউ করার বদলে ক্যাঁউউ, ক্যাঁউউ করে। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে অভিই এই দলটিকে ভয় পায় না। তবে দুঃসাহিক কিছু ঘটায় না, এটাও সত্যি। মজনু ও নারু চলে যাওয়ার পর সব কেমন ইটের সারি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। অভিই যেন সেই জড় গাছে ঝাঁকুনি দিয়ে বলে, ‘কী ব্যাপার বলত, হঠাৎ বিটুদাকে এমন তলব করছে কেন?’
গলার স্বর কারও চড়ে না। ভলু তো পারলে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলে। মনে মনে মা কালীর নাম জপতে জপতে বলে, কে জানে?
অভির মনের সন্দেহ দূর হয় না। বিষয়টি একটু খতিয়ে দেখার তাগিদটা টগবগিয়ে ওঠে।

বিজ্ঞাপন

২.

আলতাপুর বাজারে হাট বসে প্রতি মঙ্গলবার। এইদিনে সবারই পা ফেলার জায়গা খুঁজতে হয়। তবে হাটের দিনে না গেলেও চলে না। এদিনই নানা প্রান্ত থেকে মাছ, সবজি থেকে শুরু করে নানা জিনিসপত্র এসে জড়ো হয়। জমজমাট হাটের বটতলায় প্রতিবারের মতো বসে তমরু কবিরাজ। আসলে সে মাল্টিপারপাস স্টোর। একাধারে কবিরাজ, জ্যোতিষ ও সাপুড়ে। না হয়ে উপায় নেই যে। যুগ যে পাল্টে গেছে। এখন আর শুধু এক ব্যবসায় কাজ হয় না। তার ওখানে কি নেই? লতাপাতা, নানা অঙ্গভঙ্গিতে প্যাঁচানো গাছের শেকড়-বাকল, সিলভারের একটা চারকোনা কৌটায় বিভিন্ন সাইজের হাতের আঙটি, লাল-কালো-গোলাপি-সবুজ রঙের পাথর, তাবিজ, গরুর দাঁত, মহিষের হাঁটুর হাড়, পাটিতে বিছানো হলুদ ঘাম, চিকন লাঠির দড়ি বাঁধা সবুজ টিয়া, ছোট-বড় বাক্সবন্দি সাপ আরও কত কি! তমরুর গলার স্বরই অন্যরকম। এক হাঁকে হাটের মানুষদের বগলদাবা করে ফেলে। মুহূর্তেই দাঁড়িয়ে পড়ে চারপাশ। পাশেই মাজেদ আলীর ওষুধের দোকান। তমরুর কারণে তার বিক্রিতে কিছুটা ভাটা পড়ে বলে প্রতিবারই কপাল কুঁচকে তমরুকে দেখে, কিন্তু সাহসে কিছু বলার জো নেই। তবে ওষুধ বিক্রি না হলেও মোবাইল ব্যালেন্স ভরতে আসে অনেকে। একটা দিয়ে আরেকটা পুষে যায়।
তমরুর পোশাকও বিচিত্র। আঙুলভর্তি আঙটি। কবজি ও গলায় রুদ্রাক্ষের মালা। লম্বা দাড়ি। মাথাভর্তি জট চুল। থাকে শ্মশানে। গা ভর্তি ময়লা ও দুর্গন্ধ। এর সঙ্গে মিশে আছে আতরের গন্ধ। সবকিছু মিলিয়ে একেবারে জেরবার। নিজেকে রহস্যময় করে তোলার জন্য সিরাজুল পাঠান ওরফে তমরু কবিরাজ এ কাজ ইচ্ছে করেই করে। গত একযুগ ধরে সে হাটের একপাশ দখল করে আছে। এককথায় হাটের দিন মানে তমরুর দিন। সেই তমরুর ভিড়ে গত মঙ্গলবার গিয়েছিল বিটু, মানে বটকৃষ্ণ মল্লিক। কী মনে করে বিটু তার হাতটি বাড়িয়ে দেয় তমরুর মুখের সামনে। তমরুও নাক দিয়ে জোরে একটা হুম শব্দ করে, হাতে ধরা হাড়টি মাথার ওপর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হুংকার ছেড়ে বলে মায়া, সব মায়া! সেদিনের সেই সময় থেকে বিটুকে মায়ায় পেয়ে বসে।

বিজ্ঞাপন

৩.

বাড়িতে এসেই ছাদে চলে যায় বিটু। সাধারণত বিকাল দিকটায় ছাদে অভিদের সঙ্গে সময় কাটায় সে। এই ভরদুপুরে ছাদের দিকে ছেলেকে যেতে দেখে নবনিতার সন্দেহ জাগে।
কিরে বিটু, কী হয়েছে? নবনিতার কণ্ঠে উদ্বেগ।
সব মায়া, মা, সব মায়া।
মায়া মানে, কে মায়া, কোন মায়া?
সব মায়া।
আরে কখন থেকে কী মায়া-মায়া করছি, কোন মায়া? আমাদের হারাধনের মেয়ে?
বিটু কিছু বলে না। নবনিতা এই নৈঃশব্দ্যতায় বুঝে নেয়, ছেলে তার মায়ার প্রেমে পড়েছে। মুখে লাজুক হাসি দিয়ে বলে, আয়, স্নান করে খেয়ে নিবি আয়।
ঘটনা ওখানে শেষ হলে ল্যাঠা চুকে যেত। কিন্তু সেই মায়া যে হারাধনের মেয়ে নয়, তা বুঝতে আধঘণ্টাও লাগে না নবনিতার।
৪.
বিটুর বাবা সতীনাথ মল্লিক ছিলেন ডাক-সাইটে উকিল। ময়মনসিংহের কাচারিঘাটে ছিল তার চেম্বার। শহরের নওমহলে একটা দোতলা বাড়িও আছে তাদের। শহরেই বেশি সময় কাটতো সতীনাথের। সপ্তাহান্তে গ্রামের বাড়িতে যান। পাঁচবছর আগের একদিন নবনিতার মোবাইলে কল আসে সতীনাথের অ্যাসিস্টেন্ট পলাশের কাছ থেকে।
বৌদি, দাদার শরীর তো খারাপ। আপনারা এখনই চলে আসেন। আমরা দাদাকে মেডিকেলে নিয়ে যাচ্ছি।
সেটাই ছিল সতীনাথের অন্তিমযাত্রা। তারপর থেকে পাঁচিল ঘেরা তিনতলা এই বাগান বাড়িতে নবনিতা, বিটু ও কাজের মহিলা শেফালি ছাড়া আর কেউ থাকে না।
সেই বাড়ির জানালা গলে আজ হঠাৎ একটি ঢিল এসে পড়ে বিটুর বিছানার পাশে। সঙ্গে একটি চিরকূট। মহাবিপদ আসছে! সাবধান!
শব্দ শুনে পাশের ঘর থেকে ছুটে আসে নবনিতা।
কীসের শব্দ রে বিটু?
মায়া, মা। সব মায়া।
তোর মায়ার পর্ব ছাড়বি? ঘটনা কী বলবি তো?
বিটুর মুখে রা নেই। শূন্য চোখে ঘরের ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকে।
নবনিতা ইস্পাত দিয়ে তৈরি। তাকে এত সহজে কাবু করা যায় না। সতীনাথও ছিলেন বড় জাদরেল। দাদুর ধাঁচ পেয়েছে ছেলে। বড় কোমল হৃদয়ের। কাছেপিঠে বন্ধু কেউ নেই। মেলামেশা করে তারচেয়ে কম করেও দশ-বারো বছরের ছোট ছোট ছেলেদের সঙ্গে। বন্ধু বলতে ওই অভি, ভলু, মলয় ও সুরুজ। বাড়ির ছাদেই তাদের বেশি আড্ডা হয়, নয়তো বাদলার মাঠের কোনায়। কয়েক দিন মাঠে যাওয়া নেই দেখে সন্ধ্যার আগে আগে অভি এসে ডাক দিলো-
ও বিটুদা, বাড়ি আছো?
নবনিতা অনেকটা দৌড়ে এসে অভিকে বলে, কে, অভি? আয়। ভেতরে আয়। তোর বিটুদা, ঘরেই আছে।
মাসিমা, ইদানীং বিটুদা মাঠে আসে না কেন বলতে পারো?
মাঠে যায় না? নবনিতা অবাক হয়ে জিগ্যেস করে।
না। বরং সুরুজের কাছে শুনলাম নিমতলি শ্মশানে নাকি বিটুদাকে দেখেছে সে দুদিন।
নিমতলি শ্মশানে? ওখানে সে কী করে?
নবনিতা হাক দেয়-
বিটু, এখানে আয় তো।
দোতলা থেকে নিচে নেমে আসে বিটু। চোখের তলে এরই মধ্যে কালি পড়ে গেছে। কেমন রোগাটে হয়ে পড়েছে।
কী বিটুদা, আজকাল তুমি মাঠে যাচ্ছো না যে?
সব মায়া রে অভি, সব মায়া।
কিছু বুঝতে না পেরে নবনিতার মুখের দিকে তাকায় অভি। চোখের ইশারায় প্রশ্ন করে, এ কথার মানে কী?
এই হয়েছে দ্যাখ। কীসব আবলতাবোল বকে যাচ্ছে গত তিনদিন ধরে। বিরক্তি মুখে নবনিতা উত্তর দেয়।
অভি কিছু বুঝতে পারে না। তবে এই বিটুদাকে সে আগে দেখেনি। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনও কারণ আছে। ঘটনার শেষ না দেখে তা ছাড়ার পাত্র নয় অভি।

৫.

অভি আগে থেকেই ওঁৎ পেতে ছিল ঘটনা দেখার জন্য। শ্মশানে বিটুকে দেখেই নিজেকে আড়াল করে। দেখতে চায়, কী হয় আসলে? তমরু কবিরাজের সামনে গিয়ে বসে বিটু। দূর থেকে সব দেখে যায়। বিটুর মাথায় একটু পর পর হাতে ধরা হাড়টা স্পর্শ করতে থাকে তমরু কবিরাজ। সামনে কুণ্ডলি থেকে উড়তে থাকে ধোঁয়া। তাদের কথা কানে আসে না অভির। তবে অভি বুঝতে পারে, বিটুর পরিবর্তনের পেছনে তমরু কবিরাজের হাত আছে।
পরের দিন ঠিক আগের সময়ে অভি গিয়ে শ্মশানে নিজেকে আড়াল করে। কিছুক্ষণ পর মোটরসাইকেলের শব্দ শোনে পেছনে ফেরে অভি। মজনুর পেছনে নারু। দুজনের মাঝখানে কাটা মাসুদ। শ্মশানের কাছাকাছি কেওড়াগাছের তলে গাড়িটি থামায় তারা। একে একে সবাই নেমে আসে। মাসুদ একটা সিগারেট ঠোঁটে নেয়। নারু লাইটারটা সামনে ধরে। সিগারেটে লম্বা একটা টান দিয়ে মাসুদ গটগট করে এগিয়ে চলে ভেতরে। বাইরে দাঁড়িয়ে মজনু ও হারু সিগারেট ধরায়।
তমরুর সঙ্গে মাসুদের কী কথা হয় সেটা শোনার ইচ্ছে হয় অভির। কিন্তু তার দেখা পেলে বাকি সব হয়তো ভেস্তে যেতে পারে। তাই নিজেকে সংবরণ করে।

৬.

বিটুদের বাড়িতে ইটের ঢিল এরপর আজও পড়ে। বাড়ি ছাড়ো, নইলে মহাবিপদ! এমন চিরকূট দেখে নবনিতা সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশকে জানাবে। থানায় জিডি করবে। কিন্তু বিটুর যদি কিছু বিপদ হয়, তাই সেই ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে। দেখা যাক কী বিপদ। সেদিন রাত থেকেই বাড়িতে ভূতের উপদ্রব হতে থাকে। প্রথমে শেফালি দেখে, তারপর বিটু। কিন্তু নবনিতার চোখে কিছুই পড়ে না। তারা চিৎকার দিলে নবনিতা ছুটে আসে। অভয় দেয়।
সকাল হতেই ডাক পড়ে অভিদের। একে একে সবাই এসে উপস্থিত হয় তারা। সামনে স্কুল ফাইনাল। তাই সবার মন ছিল বইয়ের পাতায়। কিন্তু মাসিমার ডাক তারা অগ্রাহ্য করে কী করে?
সব শুনে অভি বলল, মাসিমা, চিন্তা করবেন না। এটা ভূতের কোনও কারবার নয়।
সবাই অভির দিকে তাকায়। মলয়, সুরুজ, ভলু জিগ্যেস করে, কী করে জানালি তুই?
আমি সব জানি। দৃঢ়তার সঙ্গে অভি বলল। প্রথমে তারা টার্গেট করেছে বিটুদাকে। তাকে পাগল বানিয়ে মাসিমাকে অসহায় করতে চায়। এরপরেও যখন বিটুদা উন্মাদ হয়নি, তখন শুরু হয়েছে, ঢিল মারা, থ্রেট দেওয়া। চলুন, আমরা বরং পুলিশে খরব দিই।
এতে করে যদি তোর বিটুদার কিছু হয়? নবনিতার কণ্ঠে আকুতি।
বিটুদার কিছুই হবে না। সব ওই কাটা মাসুদের কাজ। তারাই শ্মশানের তমরু কবিরাজকে দিয়ে এসব করাচ্ছে।
কাটা মাসুদ? সে তো সরকার দলের লোক! নবনিতার চোখ কপালে ওঠে।
তাতে কি? পুলিশ যদি কেইস না ফাইল করে, তবে আমরা প্রেস ক্লাবে যাব। সেখানে গিয়ে প্রেস কনফারেন্স করব। দেখা যাক কী হয়!
অভির সাহসী কণ্ঠে সবাই সমস্বর হয়। পুলিশ যথারীতি জিডি নিতে নারাজ হয়, মামলা তো দূরের কথা। অভিরা প্রেস ক্লাবে যায়। সেখানে প্রেস কনফারেন্সও হয়। কিন্তু কাটা মাসুদের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ায় না। বরং এ ঘটনার দুদিন পর অভির স্কুল শিক্ষক বাবা স্বপন মন্ডলের বিরুদ্ধে ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিজ্ঞান ক্লাসে তিনি নাকি কি যা তা বলেছেন। অডিও-ভিডিও দুইই ফেসবুকে ভাইরাল হয়। গলায় জুতার মালা পরিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় কাটা মাসুদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গ। এ খবর দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। একসময় জামিনে মুক্ত হয় স্বপন মণ্ডল। তবে আগের সেই চাকরি তার থাকে না। অভির সাহসের কোমর ভেঙে যায়।

পরিশিষ্ট : রাতের আঁধারে নবনিতার বাড়িতে এখন আর ঢিল পড়ে না। কেননা বাড়িটি যে আর নবনিতাদেরই নেই; আছে মাসুদের দখলে। এখানে মার্কেট হচ্ছে। অন্যদিকে অভিদের পুরো পরিবার এক রাতে গোপনে বর্ডার পার হয়।

সারাবাংলা/এসবিডিই

অঞ্জন আচার্য অঞ্জন আচার্যের গল্প 'দখল' ঈদুল ফিতর সংখ্যা ২০২৩ গল্প দখল সাহিত্য

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর