Saturday 28 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্মৃতিতে ধুপপানি ঝর্ণা

নুকু চাকমা
১২ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৩৭

আমি রাঙামাটির মেয়ে। রাঙামাটি শহরেই জন্ম, বেড়ে উঠা। ছোটবেলা থেকে ডানপিটে ছিলাম বলে মোটামুটি রাঙামাটি শহরে সব দর্শনীয় স্থান এবং কাছাকাছি উপজেলার সব দর্শনীয় স্থান দেখা হয়ে গেছে সেই স্কুল, কলেজ এবং ভার্সিটি জীবনেই। পরবর্তীতে কর্মসূত্রে রাঙামাটির ১০টি উপজেলা এবং পার্শবর্তি দু’টো জেলার কয়েকটি উপজেলাও। কিন্তু আমি তখনও জানতাম না ধুপপানি ঝর্ণার কথা। ধুপপানি ঝর্ণার কথা জেনেছি ২০১৯ সালে এক ঝর্ণা দেখতে গিয়ে। সেই ঝর্ণাটির নাম গাজকাবা ঝর্ণা। গাজ শব্দটির বাংলা অর্থ গাছ। অর্থ্যাৎ বাংলা করলে এর অর্থ দাঁড়ায় গাজকাটা ঝর্ণা।

বিজ্ঞাপন

এবার মূল গল্পে ফিরে আসি। আমাদের এক বন্ধু মনিষা তাুলকদার চাকরীসূত্রে বিলাইছড়িতে থাকে স্বপরিবারে। বন্ধু মনিষার বর আমাদের স্কুলের বড়ভাই এবং বর্তমানে তিনি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক। মূলত: বন্ধু এবং তার পরিবারের আমন্ত্রণে আমরা এসএসসি ৯৫ ব্যাচের কয়েকজন বন্ধুরা গাজকাবা ঝর্ণা দেখতে যাই ২০১৯ সালের বর্ষায়। তখন’ই এই ধুপপানি ঝর্ণার গল্প শুনি। এবং ধুপপানি ঝর্ণা দেখার সাধ জাগে।

বিজ্ঞাপন

এরপর অনন্ত অপেক্ষা। কারণ ঝর্ণা দেখতে হয় বর্ষার সময়। বর্ষায় ঝর্ণা তার সৌন্দর্য মেলে ধরে। এরপর দীর্ঘ এক বছর অপেক্ষার পরে সেই কাঙ্খিত বর্ষাকাল এলো। এবার ধুপপানি যাবার পালা। কিন্তু কাঙ্খিত বর্ষা আসার পর আরেক সমস্যা দেখা দিলো। সেটি হলো ভারী বর্ষণ। এমন ভারী বৃষ্টি আমাদের পক্ষে যেখানে ঘর থেকে বের হওয়া’ই কঠিন সেখানে আমরা কিভাবে ঝর্ণা দেখতে যাবো? শুরু হলো আরেক অপেক্ষা। অবশেষে সেই কাঙ্খিত ক্ষণটি এলা ১১ অক্টোবর ২০২০ সালে।

ধুপপানি ঝর্ণায় যাওয়ার আগে আমরা বন্ধুরা বসলাম পরিকল্পনা করতে। কিভাবে, কখন যাবো ইত্যাদি ইত্যাদি। এরপর দু’টো স্পিডবোট ঠিক করা হলো। দুই বোটে আমরা মোট ১০ জন করে বিশ জন যাবো। কিন্তু, সময় যতই ঘনিয়ে আসছিল ততই আমাদের তালিকা ছোট হতে থাকলো। একজনের এই সমস্যা তো আরেকজনের ঐ সমস্যা। মূল কথা হলো তাদের যাওয়ার ইচ্ছে নেই তাই তারা নানান কারণ দেখিয়ে সরে পড়লো। আমি অনড় আমি ধুপপানি যাবো’ই। আমার এই দৃঢ়তা দেখে আমার আরেক স্কুল বন্ধু বর্তমানে ব্যাংকার আবু বকর আর পিছপা হতে পারেনি।

ধুপপানি ঝর্ণার সামনে আমি

ধুপপানি ঝর্ণার সামনে আমি

আমাদের টিমে আমি মেয়ে একা আর বাকীরা সব ছেলে বন্ধু আর এক বন্ধুপত্নি। তো পরিকল্পনা মত ১১ অক্টোবর ২০২০ সালে সকাল ৭টায় রাঙামাটি উন্নয়ন বোর্ড ঘাট থেকে রওনা দিলাম। ঘন্টা খানিক এর মধ্যে বিলাইছড়ি উপজেলায় পৌঁছলাম। সেখানে আমাদের আরেক বন্ধু বর্তমানে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী আমাদের জন্য স্ন্যাক্স প্যাক (তার পক্ষ থেকে উপহার) নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা স্ন্যাক্স প্যাক নিয়ে আবার নব উদ্যোমে রওনা দিলাম। বিলাইছড়ি থেকে আমাদের সাথে আরো যুক্ত হলো স্কুলবন্ধু মনিষা দেওয়ান, তার বর স্কুলের বড়ভাই উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা এবং তাদের এক বোনপুত অপরূপ তঞ্চঙ্গ্যা পলাশ। মূলত সে ও আমার ছোটভাই। একসাথে ঘুরি। ছবি তুলে দেয় অপরূপ।

মনে উত্তেজনা নিয়ে আবার যাত্রা শুরু করলাম বিলাইছড়ি উপজেলা থেকে। এবার গন্তব্য ধুপপানি ঝর্ণা। বোটে নানা গল্প শুনতে শুনতে যাচ্ছি। ধুপপানিতে নাকি যেতে আসতে মোট ৩ ঘন্টা করে ৬ ঘন্টা হাঁটতে হয়। এবং এ ঝর্ণা দেখতে হলে নিজের পায়ে হাঁটা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। মনে মনে উত্তেজনা অবশেষে যাচ্ছি ধুপপানি ঝর্ণায়।

এ মধ্য বয়সে এসে এখন যদি এ ঝর্ণাটা দেখতে পারি তাহলে তালিকায় এ ধুপপানি ঝর্ণার নামটা যুক্ত হবে। আর যদি যেতে না পারি আগামীতে সম্ভাবনা আরো ক্ষীণ হয়ে আসবে।

ধুপপানি ঝর্ণা অনেক দুর্গম। তবুও বিশ্বাস আমি পারবোই। কারণ, আমাদের টিমে আমার এক বন্ধুর কোমড় ব্যথা তাই সে আস্তে হাঁটে। আর আরেক বন্ধু বকরের সাইনাস। রোদে হাঁটলে সমস্যা। অন্তত টিমে এই দুই বন্ধুর চেয়ে আমি ফিট ভেবে নিজে নিজে মনের জোর অনুভব করছি।

আমি আর আমার বন্ধু মৃগসেন টিমের মধ্যে সর্বপ্রথম ধুপপানিতে নেমেছিলাম

আমি আর আমার বন্ধু মৃগসেন টিমের মধ্যে সর্বপ্রথম ধুপপানিতে নেমেছিলাম

ধুপপানি ঝর্ণাটি রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়ন এর ওড়াছড়ি নামক স্থানে অবস্থিত। বিলাইছড়ি উপজেলা থেকে ওড়াছড়ি যেতে কড়া নিরাপত্তা বেস্টনীর মধ্য দিয়ে যেতে হয়। প্রতিটি চেকপোস্টে কর্তব্যরত সেনাবাহিনীদের জাতীয় পরিচয় পত্র দেখাতে হয় এবং চেকপোস্টে যাত্রীদের ছবি তুলে রাখে। সে যায় হোক এরকম কয়েকটা চেকপোস্ট এ নিজেদের পরিচয় পত্র দেখিয়ে গ্রুপ ছবি তুলে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ওড়াছড়ির অভিমুখে রওনা দিলাম।

নদীপথে বিলাইছড়ি উপজেলা থেকে ফারুয়া ইউনিয়ন এর দু’পাশটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। মারমা জাতিদের গ্রাম এবং তাদের চাষ পদ্ধতি দেখলাম ওড়াছড়িতে। একদম ক্যাম্পের সামনেই নদীর পাশে ছন্দ নিয়ে কিশোরীরা বীজ বুনছে। দেখ মুগ্ধ হলাম। কিন্তু ক্যাম্প এলাকায় ছবি তোলা নিষিদ্ধ। তাই দুচোখ ভরে সেই ছন্দ দেখে নিলাম।

অত:পর গল্প করতে করতে করতে, চেকপোস্টে নেমে পরিচয় পত্র দেখাতে দেখাতে এবং গ্রুপ ছবি তুলতে তুলতে আমরা পৌঁছে গেলাম সেই বহুল কাঙ্খিত ওড়াছড়ি গ্রামে। উত্তেজনা নিজে ঘাটে নামলাম যে আমরা ধুপপানি যাচ্ছি।

এবার ধুপপানি সম্পর্কে একটু ধারণা দিই। স্থানীয় তঞ্চঙ্গ্যা জাতিরা এটিকে ধুপপানি ঝর্ণা বলে। স্থানীয় শব্দ ধুপ অর্থ সাদা আর পানি যুক্ত করে এটিকে সাদা পানির ঝর্ণাও বলা হয়। ঝর্ণাটি এতবছর লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল। ২০০০ সালের দিকে এক বৌদ্ধ ভিক্ষু গভীর অরণ্যে ধুপপানি ঝর্ণার নীচে ধ্যান শুরু করেন। পরে স্থানীয় লোকজন জেনে ঐ বৌদ্ধ ধ্যান সন্ন্যাসীকে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে বা উপলক্ষ্যে সেবা করতে গেলে ধুপপানি ঝর্ণা লোক সম্মুখে পরিচিতি পায়।

ধুপপানি ঝর্ণার গুহাতে ধ্যান এর বেশে আমি

ধুপপানি ঝর্ণার গুহাতে ধ্যান এর বেশে আমি

ঝর্ণার পানি সাদা এবং অনেক উঁচু থেকে আছড়ে পড়ে। তখন শুধু একটা একটা সাদা পানির ধারা দেখা যায়। সেজন্য এটিকে ধুপপানি ঝর্ণা বলে। সমতল থেকে এর উচ্চতা প্রায় ১৫০ মিটার। ঝর্ণা থেকে পানি আছড়ে পড়ার শব্দ প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায়।

এই ঝর্ণার উপরে একজন সাধু তার আশ্রমে ধ্যান করেন। স্থানীয় ভাষায় এই ধর্মযাাজককে বলা হয় ভান্তে। এজন্য এই ধুপপানি ঝর্ণা পরিদর্শণকালে নীরববতা পালন করার অনুরোধ করেন স্থানীয়রা।

আবারও ফিরে যাই গল্পে। ঘাট থেকে নেমেই স্থানীয়রা বাঁশ দেওযার জন্য প্রস্তুত। তারা বিভিন্ন আকার এর বাঁশ কেটে রেখেছেন যাতে ভ্রমণ পিপাসুরা সেই বাঁশের উপর ভর করে ধুপপানি ঝর্ণা দেখতে যেতে পারে। আমরাও টিমে কয়েকটা বাঁশ কিনলাম।

সেই বাঁশের উপর ভর করে মহানন্দে হাঁটছিলাম। কিছুদূর যেতেই চোখ দিয়ে পানি পড়ার অবস্থা বেশ কিছুটা রাস্তা কাদায় ভরা। সেখানে কোন ট্র্যাকিং স্যান্ডেল কাজ করে না। অত:পর খালি পায়ে সেই কাদারাস্তা পার হলাম একে অপরের হাতে ভর করে। এরপর কিছুদূর গিয়েই চোখে পড়লো গ্রাম। তখন তাদের জুমফসল তোলা শেষ। কোথাও ধান শুকোচ্ছেন কোথাও ধান ভাঙছেন এমন দৃশ্য চোখে পড়লো। বাড়িগুলো সব মাচার উপর তোলা যাতে বন্য প্রাণীর আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়। একটা বাড়িতে মাচায় বসে কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিলাম।

এরপর আরেক পাহাড় উঠে দেখি গ্রামবাসীরা স্থানীয় পণ্য সাজিয়ে রেখেছেন। জুমের মারফা (শশা জাতীয় জুমে উৎপাপিত ফল) লেবু, তেুঁতুল ইত্যাদি। পানির তৃষ্ণায় আর ক্ষিধেই আমরা যা পেয়েছি গ্রোগ্রাসে খেয়েছি। সেখানে মিনারেল ওয়াটারও আছে। তবে মূল পানির দামের সাথে তাদের পারিশ্রমিকটা দিয়ে কিনেত হয়।

টিমের সাথে ধুপপানি ঝর্ণার গুহাতে

টিমের সাথে ধুপপানি ঝর্ণার গুহাতে

এরপর আবার হাঁটা শুরু। মাথায় শুধু তখন ঘুরপাক খাচ্ছে তিনটা পাহাড় উঠবো তিনটা পাহাড় নামবো এরপর দেখা মিলবে সেই কাঙ্খিত ধুপপানি ঝর্ণা। হাঁটতে হাঁটতে কাপড়চোপড় সব কাঁদায় মাখামাখি। আর যেখানেই ছড়া পেয়েছি সেখানে পরিষ্কার হয়ে নিয়েছি। এই করতে করতে শেষ পাহাড়ের উপর এসে একদল ভান্তে এর সাথে দেখা হলো। কী অবলীলায় তাঁরা হাঁটছেন। তাঁদের সাথে দেখা হয়ে আমরাও একটু বিরতি নিলাম। নিজেদের মধ্যে আলাপ করলাম। এরপর ভান্তেরা চলে যাবার পর আবার আমরা হাঁটা শুরু করলাম। শেষ পাহাড়টা নামতে গিয়েই দেখি পানি পরার শব্দ শোনা যাচ্ছে। আমরা সবাই উচ্ছ্বসিত হলাম। আর কিছুক্ষণ পাহাড়টা নামলেই দেখা মিলবে সেই কাঙ্খিত ধুপপানি ঝর্ণার।

আর তর সইছিল না। এবার একটু জোরে জোরে হাঁটা শুরু করলাম। এর কিছুক্ষণ পরই দেখলাম সেই ধুপপানি ঝর্ণার অপূর্ব রূপ। মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষণ। এরপর অপরূপকে বললাম ছবি তুলে দিতে। তখন সে বলে দিদি ছবি নয় আগে ঝর্ণা স্নান করে নেন। আরে তাই তো। প্রায় তিনঘন্টা হেঁটে আমরা তখন কাদায় মাখামাখি আর ক্লান্ত শ্রান্ত। আমাদের টিমের মধ্যে আমি আর একবন্ধু মৃগসেন সবার আগে নেমে গেলাম ঝর্ণার পানিতে। কী ঠান্ডা পানি। আরাম অনুভব করলাম আমরা। তখনও আমাদের জন্য কি চমক অপেক্ষা করছে আমরা জানি না। তখন আমার বন্ধুর বর বললো এখনও মজা বাকী আছে। ঝর্ণার পানির ভেতর দিয়ে চলে যাও তোমাদের জন্য চমক আছে।

কথামত আমরা ঝর্ণার পানির ভেতর দিয়ে চলে গেলাম এবং গিয়ে আমরা সত্যিই চমকে গেলাম। ঝর্ণার পানির ভেতর ছোট্ট এক গুহা আর সেই গুহার ধার বেয়ে অবিরাম ঝরছে ধুপপানি ঝর্ণার পানি। ছবিতে আগে দেখেছিলাম আমি! কিন্তু সরাসরি দেখার অনুভূতিটা রোমাঞ্চকর। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার নয়। আমরা অনেকক্ষণ মজা করলাম। ছবি তুললাম। আর ধ্যাণ এর ভান করলাম। তখন বেলা অনেক গড়িয়ে গেছে। ঝর্ণা স্নান এর পর কাপড় বদলে নিলাম। এরপর অপরূপ সেই ধুপপানির সাথে স্মৃতি রাখতে তুললাম ছবি।

ধুপপানি ঝর্ণা থেকে ফেরার আগে একবার মনভরে ঝর্ণার সৌন্দর্য দেখে নেওয়া

ধুপপানি ঝর্ণা থেকে ফেরার আগে একবার মনভরে ঝর্ণার সৌন্দর্য দেখে নেওয়া

এবার ফেরার পালা। মনটা আবার বিষাদে ভরে গেল। যে পথটা হেঁটে এসেছি সেই পথটা ধরেই আবার হেঁটে ফিরতে হবে। পরপর তিনটা পাহাড় উঠলাম, তিনটা পাহাড় নামলাম এরপর গ্রাম পেরিয়ে সেই কাদামাখা রাস্তা। আর ওড়াছড়ি গ্রামের ঘাটে আমাদের বোট বাধা আছে। মনে একটাই সাহস রেখেছিলাম ধুপপানির টানে এত কষ্ট করেছি আর একটু কষ্ট করে ঘাটে পৌঁছালে বাড়ি ফিরতে পারলেই আমার একমাত্র সন্তান রূপকথার মুখটা দেখতে পাবো। একে একে আমরা সবাই ঘাটে এসে পৌঁছলাম। ঘাটে আবার সবাই স্নান করে নিলাম। এরপর ভেজা কাপড় বদলিয়ে বিলাইছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তখন আমাদের বন্ধু তার রেস্টুরেন্টে আমাদের জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে বসে আছে। আমরা তাকে জানালাম বসে খেতে গেলে সময় লাগবে তাই নিরাপত্তার কারণে আমরা বন্ধুর রেস্টুরেন্টে যাইনি। বোটেই বন্ধুর প্যাক করে দেওয়া খাবার খেয়েছি। আমরা তখন ক্লান্ত শ্রান্ত কিন্তু মন ফুরফুরে কারণ ধুপপানি ঝর্ণা দেখে এসেছি। নিরাপত্তা বেস্টনী পেরিয়ে এই দুর্গম ঝর্ণাটা দেখে আসাটা এত সহজ নয়। যাঁরা দেখেছেন তারা সৌভাগ্যবান। আমিও নিজেকে নিজে ধন্যবাদ দিই নিজেকে নিজে প্রেরণা দিয়ে এই স্বপ্নের ধুপপানি ঝর্ণা দেখে এসেছি বলে।

নোট: আমার এ লেখাটা পড়ে যারা ধুপপানি ঝর্ণায় যাবেন বলে ঠিক করছেন তাদের জন্য আমার পরামর্শ হলো আর দেরী নয় এবছরই যান। নয়তো আগামীবছর। যত দ্রুত যাবেন তত দ্রুত এ রোমাঞ্চকর অনুভূতি পাবেন। আর সময়টা যেন বর্ষার পরপর হয়। এজন্য সেপ্টেম্বর এর ১৫ থেকে অক্টোবর এর ১৫ তারিখ সময়টা ভালো সময়। ভরা বর্ষায় ঝুঁকি বেশি থাকে। কারণ, অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড়ী ঢল হয় এবং নদীপথে যাত্রাও নিরাপদ নয়।

লেখক: সমাজকর্মী

সারাবাংলা/এসবিডিই

নুকু চাকমা বেড়ানো লাইফস্টাইল স্মৃতিতে ধুপপানি ঝর্ণা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর