রোজায় এসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করবেন কীভাবে?
১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১০:০০ | আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১০:০৭
গ্যাস্ট্রিক শব্দটি পরিচিত হলেও এর সঠিক নাম হচ্ছে Gastritis। মানুষের মুখে মুখে রোগটির নাম হয়ে গিয়েছে Gastric। সে যাই হোক, এ নিয়ে প্রায়ই নানা রকম বিড়ম্বনা দেখা যায়।
সাধারণত খাদ্যাভ্যাসের জন্যই মানুষ রোজায় গ্যাস নিয়ে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন। ‘অটোফেজি’ নিয়ে সবাই শুনে থাকবেন। এই শব্দটি এসেছেই দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার প্রক্রিয়া থেকে। টোকিওর গবেষক এই আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরষ্কার পান। অটোফেজি প্রক্রিয়াটি আমাদের শরীরকে কার্যক্ষম রাখে, দুর্বল অঙ্গাণু থেকে মুক্তি দেয় এবং ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে। এক কথায় বলা যায়, অটোফেজি রোগ প্রতিরোধ করে এবং আমাদের যৌবন ধরে রাখতে সহায়তা করে। তাহলে আমরা যে এক মাস সিয়াম সাধনা করছি, সেক্ষেত্রে আমাদের উল্টো ভালো থাকার কথা। তার মানে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আমাদের অত্যন্ত জরুরী। ছোট ছোট পদক্ষেপ কিন্তু খুব সহজ। কিছু খাদ্য আপনার নিত্যদিনের খাবারের টেবিলে রাখলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি সম্ভব।
গ্যাস্ট্রিকের রোগ হতে পারে নির্দিষ্ট কোন ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় যেমন- পেইন কিলার, স্ট্রেস, স্মোকিং, চর্বি ও মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া এবং কখনো কখনো ইনফেকশনের কারণেও হয় যেমন— H-Pylori ইনফেকশনের জন্য।
আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ। দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খেলে তাদের ভবিষ্যতে আয়রন, ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়ামের অভাব দেখা দেবে। এমনকি হাড় ক্ষয়, অল্প আঘাতেই হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা সেই সঙ্গে শরীরে কিছু রোগজীবাণু প্রবেশের সক্ষমতা বেড়ে যায়। এমনকি কিডনিতে মারাত্মক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সঠিক খাদ্যাভাস ও সাথে শরীরচর্চা আপনাকে Gastritis থেকে দেবে স্বস্তি।
রোজায় এসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করবেন কীভাবে
১. একদম খালি পেটে ফল খাবেন না।
২. যাদের এসিডিটির সমস্যা রয়েছে তারা সালাদে টমেটো দেবেন না। তাছাড়া টমেটো সসও এড়িয়ে যাবেন। কারণ টমেটোতে ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড আছে, যা পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি করে।
৩. সাইট্রাস জাতীয় ফল যেমন- কমলা, লেবু, জাম্বুরা ইত্যাদি খালি পেটে খাবেন না।
৪. চকলেট, আইসক্রিম, কোক, পাউরুটি, লাল মাংস, আলুর চিপস, প্রক্রিয়াজাত মাংস, ফাস্ট ফুড, প্যাস্ট্রি, বেকড পণ্য, মেরিনেডস, সালসা, মেয়নেজ, ক্রিমি সস খাবেন না।
৫. বাদাম খেতে পারেন, তবে ৫-৬টি। ইফতারিতে নয়, বাদাম খাবেন রাতে।
৬. পেঁয়াজের ভুনা তরকারি এড়িয়ে চলুন।
৭. ঝাল ও অতিরিক্ত তেলে ভাজা এবং মশলাযুক্ত খাবার খাবেন না।
৮. নিয়মিত শরীরচর্চা করবেন।
৯. অবস্থা গুরুতর হলে অবশ্যই চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
সারাবাংলা/এসবিডিই