রোজায় শিক্ষার্থীদের সুস্থতা
১২ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৪৯
বসন্তের এই রোজায় না খেয়ে থাকতে হচ্ছে প্রায় ১৪ ঘন্টা। তাই দীর্ঘ সময়ে রোজা পালনের প্রস্তুতিও সঠিক হওয়া দরকার। তা না হলে, শরীর দুর্বল ও গ্লুকোজ লেভেল কমে গিয়ে মাথা ঘোরার সঙ্গে বমি ভাব হতে পারে। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস্ট্রিক ও কিডনীজনিত সমস্যাও হতে পারে।
ইফতারিতে যা খাবেন
সুস্থ থেকে ভালোভাবে রোজা পালন করার জন্য কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত। চলুন জেনে নেই, শিক্ষার্থীরা কীভাবে সুস্থ থেকে রোজা পালন করতে পারেন-
১. ক্লাস আর বাইরের কাজ ইফতারের আগেই শেষ করে বাসায় ফেরা উচিত, যেন কিছুটা সময় বিশ্রাম নেওয়া যায়।
২. সারাদিন শেষে শক্তি সঞ্চারের জন্য ২/৩ টি খেজুর দিয়ে হোক ইফতারের শুরু।
৩. খালি পেটে লেবুর শরবত খাওয়া ঠিক না। এই বয়সের অনিয়মিত খাদ্যাভাসের জন্য অনেকেরই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় আগে থেকেই ভোগেন। তাই ইফতারের শুরুতে অন্য খাবার খেয়ে তারপর লেবুর শরবত খেতে হবে।
৪. ইফতার মেন্যুতে পেট ঠান্ডা করে এমন ফলের জুস যেমন পেঁপের শরবত, বেলের শরবত, বাঙ্গির শরবত খাওয়া ভালো।
৫. একবারে অনেক পানি না খেয়ে ১০/১২ গ্লাস পানি অল্প অল্প করে খান।
৬. মৌসুমি ফল বেশি থাকলে ইফতার হতে পারে পুষ্টির পরিপূর্ণ উৎস।
৭. এই বয়সীরা ভাজাপোড়া ছাড়া ইফতার মানতে চায় না। তাই যতটা সম্ভব ঘরের তৈরী ভাজাপোড়া খান। আর বাইরের খাবার হলে তা পরিমাণে কম খেতে হবে। তবে দুটোক্ষেত্রেই সঙ্গে খাবেন সালাদ।
সেহেরিতে যা খাবেন
১. সেহেরিতে একটি সিদ্ধ ডিম দিতে পারে সারাদিনের চালিকা শক্তি।
২. তিনভাগ খাবারের একভাগ ভাত আর দুই ভাগ সবজি, মাছ, মাংস হওয়া উচিত।
৩. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেশি থাকলে চিড়া, দই, কলা সেহেরিতে খাওয়া যেতে পারে।
খাবার খেতে হবে সময় আর প্রয়োজনীয়তা বুঝে। সুস্থতাকে প্রাধান্য দিয়ে ঘরের খাবার বেশি খান। কাচ্চি বিরিয়ানি কিংবা বাইরের ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন। সুস্থ, সুন্দর আর বরকতময় রোজা পালন করুন।
সারাবাংলা/এসবিডিই