রোজায় প্রবীণদের রাতের খাবার কেমন হবে?
৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৫৩ | আপডেট: ৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৫৫
বৃদ্ধ বয়সে মানুষ নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। রোজায় তাই পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের শরীরে ব্যাপকভাবে অণু এবং কোষ ক্ষয় হতে থাকে। আসলে এটা স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া হলেও এর ফলে মানুষের শারীরিক শক্তি এবং মানসিক কাজের ক্ষমতা কমে যায়। যা মানুষকে শিশুর মত যত্নের উপর নির্ভরশীল করে তোলে। এসময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কর্মক্ষমতা কমে যায়। শরীর এবং মনে বিভিন্ন অসুস্থতা দেখা দেয়।
ইফতারে বয়স্কদের জন্য নরম এবং হজম উপযোগি খাবার পরিবেশন করলে তারা সবার সাথে স্বাচ্ছন্দ্যে খেতে পারেন। মনে রাখবেন, ইফতারে সাত আট রকম খাবার, নানা রকম ভাজাপোড়া, তেল মসলায় রান্না করা ভারি খাবার কখনোই বয়স্কদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি নয়।
প্রবীণদের রাতের খাবার
ক. লাল চালের ভাত বা লাল আটার রুটির সাথে এক বাটি সবজি, দেশি মাঝারি আকারের মাছ বা মুরগির মাংস রাতের খাবার হিসেবে দেওয়া যায়। লাল চালে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বয়স হলে চোখের সমস্যা, দাঁতের সমস্যা থাকে তাই ছোট মাছের কাঁটা বেছে খাওয়া তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে। আবার বড় বড় তৈলাক্ত মাছ কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে তাই মাঝারি আকারের সুস্বাদু দেশি মাছ হল বয়স্কদের জন্য ভালো প্রোটিনের উৎস।
খ. শাকে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিটা ক্যারোটিন। রাতের খাবারের সাথে দেড় টেবিল চামচ পরিমাণ শাক খেলে বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
গ. নরম সবজি খিচুড়ির সঙ্গে কালো জিরা, সরিষা বা সয়াবিন ভর্তা, একটা দেশি মুরগির ডিম রাতের খাবার হিসেবে একজন বয়স্ক মানুষের সব ধরনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। এসব খাবার খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি সহজে হজম হয়। খাওয়া শেষে ছোট এক পিস পুডিং দিলে তাদের খাওয়ার তৃপ্তি পরিপূর্ণ হয়।
ঘ. কোন কোন দিন অল্প ঘিয়ে রান্না করা ভেজিটেবল পোলাওয়ের সাথে মুরগির মাংস হতে পারে তাদের রাতের খাবার।
সারাবাংলা/এসবিডিই