Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনায় কার্যকর অ্যাস্ট্রাজেনেকার অ্যান্টিবডি থেরাপি

লাইফস্টাইল ডেস্ক
২১ আগস্ট ২০২১ ১৯:০০ | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২১ ১২:৫৭

অ্যাস্ট্রাজেনেকার নতুন অ্যান্টিবডি থেরাপি মানুষের শরীরে করোনার ঝুঁকি ৭৭ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে। এমনকি যাদের শরীরে ভ্যাকসিন খুব কম কাজ করে তাদের জন্যও এটি অনেক বেশি কার্যকর। অ্যাস্ট্রাজেনেকার নতুন অ্যান্টিবডি থেরাপি ট্রায়ালের শেষদিকে এসে এমনই সুখবর দিলেন কোম্পানির কর্মকর্তারা।

ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের ৭৫ শতাংশের শরীরে ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার আবিষ্কৃত দুই ধরনের অ্যান্টিবডির যৌথ মিশ্রনে থেরাপি দেওয়া হয়। তারা দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং অনেকের শরীরে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাও ছিল কম।

বিজ্ঞাপন

ভির বায়োটেক কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একই ধরনের থেরাপি তৈরি করছে রেজেরেন, এলি লিলি ও গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি। মোনোক্লোনাল নামের এক ধরনের ড্রাগ দিয়ে তৈরি অ্যান্টিবডিটি প্রাকৃতিকভাবে একই ধরনের ইমিউন সিস্টেম প্রোটিন তৈরি করে।

কিন্তু অ্যাস্ট্রাজেনেকাই প্রথম যারা কোনো অ্যান্টিবডি ট্রায়াল থেকে ইতিবাচক ফলাফলের কথা জানিয়েছে। কোম্পানির নির্বাহী কর্মকর্তা মেন প্যাঙ্গালোস বলেন, ‘অ্যান্টিবডি পুশ করার তিন মাস পর থেরাপি পরীক্ষার ফলাফল নেওয়া হয়। অনুসন্ধানকারীরা ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে এটি পর্যবেক্ষণ করবেন।’

এর আগে প্যাঙ্গালোস ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, করোনা প্রতিরোধে নতুন এই পণ্যটির সম্ভাবনা বিদ্যমান ভ্যাকসিন ভ্যাক্সেব্রিয়ার কৌশলগত মান আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। ইউরোপে যখন ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রক্তজমাট বাঁধার মতো বিরল ঘটনা ঘটে তখন ওষুধপ্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাক্সেব্রিয়া ভ্যাকসিনের উৎপাদন সমস্যায় পড়েছিল। এ ভ্যাকসিনটি এখনো যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন পায়নি।

বিজ্ঞাপন

অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরেক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা রুড ডোবার গত মাসে বলেছিলেন, ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ধরনের কৌশল অনুসন্ধান করা হচ্ছে, যার জন্য আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে।’

থেরাপি ট্রায়াল নিয়ে প্যাঙ্গালোস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ‘করোনা চিকিৎসায় এখনো কেউ দুটি অ্যান্টিবডি নিয়ে কাজ করেনি। তাই এটি আমাদের অনেক বেশি সাহায্য করেছে।’

প্যাঙ্গালোস বলেন, ‘রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম যেমন, অঙ্গ প্রতিস্থাপন বা ক্যানসারে আক্রান্ত এমন ২ শতাংশ মানুষই হবেন এই থেরাপির প্রধান লক্ষ্য। অন্যান্যদের মধ্যে বিভিন্ন মিশনে কর্মরত নৌবাহিনীর কর্মকর্তারাও প্রাধান্য পাবেন।’

অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই কর্মকর্তা আরো জানান, কোম্পানিটির লক্ষ্য, বছর শেষ হওয়ার আগে প্রধান বাজারগুলোতে এই থেরাপির শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন নিশ্চিত করা। ততদিনে প্রায় ১০ থেকে ২০ লাখ ডোজ উৎপাদন করা যাবে বলেও জানান তিনি।

সারাবাংলা/এসএসএস

অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনাভাইরাস

বিজ্ঞাপন

লস অ্যাঞ্জেলসে দাবানল, নিহত ৫
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৩

২৪ ম্যাচ পর হারল লিভারপুল
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৩১

আরো

সম্পর্কিত খবর