Friday 03 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভয়ংকর সুন্দর পর্যটন স্পট বিকিনি অ্যাটল

শাহীনূর সরকার
২৫ এপ্রিল ২০২১ ২০:৪৭ | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২১ ২১:৪৬

ভ্রমণপিপাসুদের মধ্যে একটি দল আছে যারা বেশ বিপদজনক, ভয়ংকর, শিহরণ জাগায় এমন কিছু অভিজ্ঞতার খোঁজে থাকেন সবসময়। সুযোগ পেলেই বেরিয়ে যান রোমাঞ্চের খোঁজে। তবে পৃথিবীতে এমন কিছু জায়গা আছে যা রোমাঞ্চের সঙ্গে বিপদও ডেকে আনতে পারে। ভয়ংকর সুন্দর সেসব জায়গা নিয়ে সারাবাংলার আয়োজনের শেষ পর্বে আজ থাকছে পরমানু পরীক্ষায় ক্ষত-বিক্ষত বিকিনি অ্যাটল দ্বীপের কথা।

প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জ মার্শাল আইল্যান্ডের বিকিনি অ্যাটল দ্বীপ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এখানে ভয়াবহ পরমানু বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে একটি পরমানু বোমার ভয়াবহতা সাত দশক পরও ভুগছে সেখানকার মানুষ। আর বিকিনি দ্বীপে যে ২৩ টি বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ করা হয়েছিল তার শেষটি ছিল জাপানে নিক্ষেপ করা বোমার চেয়ে প্রায় হাজার গুণ শক্তিশালী।

বোমার পর বোমা বিস্ফোরণে ক্ষত-বিক্ষত করার পরও সেখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য এখনো নৈসর্গিক বলা যায়। তবে এখনো এটি বসবাসের খুবই অনুপযোগী। কারণ সেখানকার উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

বিকিনি আকৃতিতে ঘিরে রাখা এই দ্বীপের আয়তন ৬০০ বর্গকিলোমিটার। যার মধ্যে স্থলভাগ ৯ বর্গকিলোমিটার। ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত এই দ্বীপ ও এর আশপাশে সমুদ্র ও সমুদ্রের তলদেশে পরমানু বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

পরমানু বোমা পরীক্ষা চালানোর আগে সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিলো। তাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে কিছুদিনের মধ্যেই সেখানে তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে। তবে এখনো পর্যন্ত সেসব মানুষ সেখানে ফিরে যেতে পারেন নি। পরমানু বোমা পরীক্ষার তিন দশক পর তাদের সেখানে ফিরিয়ে নেওয়া হলেও সেখানকার ফসলে ভয়াবহ তেজস্ক্রিয়তা থাকায় কয়েক বছর পরই সেসব মানুষকে আবারো সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

তবে সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন, সেখানে প্রাণের স্পন্দন পাওয়া যাচ্ছে। বিকিনি দ্বীপে পাওয়া গেছে উদ্ভিদ ও প্রাণীর অস্তিত্ব। সমুদ্রের প্রবালগুলো বংশবিস্তার করছে। বাড়ছে হাঙ্গর, টুনাসহ অনেক সামুদ্রিক মাছ ও কাঁকড়া।

বিকিনি অ্যাটল দ্বীপের ওপর করা ১৯৯৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই দ্বীপে হাঁটা ও সাঁতার কাটা নিরাপদ। তবে সেখানে পর্যটনের কোন স্থাপনা নেই। থাকার জায়গা খুবই সাধারন।  প্রয়োজনীয় সবকিছুই পাশের দ্বীপ থেকে সরবরাহ করা হয়। সেখানে পর্যটকদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার পাশাপাশি সমুদ্রে সাঁতার কাটাই একমাত্র কাজ।

সারাবাংলা/এসএসএস

পর্যটন স্পট বিকিনি দ্বীপ ভয়ঙ্কর সুন্দর পর্যটন স্পট

বিজ্ঞাপন

না ফেরার দেশে অঞ্জনা
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৪

এই তাসকিনকে সমীহ করবেন যে কেউ
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৭

আরো

সম্পর্কিত খবর