Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনাভাইরাস ও সাধারণ ফ্লুয়ের পার্থক্য


১৩ মার্চ ২০২০ ১০:০০ | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২০ ১৪:৩৭

কোভিড-১৯ নামের করোনাভাইরাসটি এখন দুনিয়াব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। সারাবিশ্বে ১ লাখের বেশি মানুষ এই ভাইরাস সংক্রমণের শিকার এবং কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছেন। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারছেন না সাধারণ ফ্লু এবং করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো একই নাকি ভিন্ন। এ দুটো ফ্লুর মধ্যে কিছু মিল যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে কিছু পার্থক্যও।

আসুন সবার আগে সাধারণ ফ্লু এবং কোভিড-১৯-এর লক্ষণের মধ্যে মিলগুলো দেখে নেই

বিজ্ঞাপন

দুটি রোগই ভাইরাসবাহী সংক্রমণ এবং প্রাথমিকভাবে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে। তাই দুই ধরনের সংক্রমণের ক্ষেত্রেই রয়েছে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য। এগুলো মানুষের মধ্যে ছড়ায় কফ, থুতু বা লালার মাধ্যমে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে কোভিড-১৯ ও ফ্লু দুইই ছোঁয়াচে রোগ যা শ্বাসতন্ত্রকে আক্রমণ করে। এতে আক্রান্ত হলে বমি বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট, বুকে কফ জমা, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া এবং আরও জটিল পর্যায়ে গেলে নিউমোনিয়ায় রূপ নিতে পারে।

এবার দেখে নেওয়া যাক দুই ধরনের সংক্রমণের পার্থক্যগুলো কী

যদিও করোনাভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জাভাইরাস আক্রান্তের উপসর্গের মধ্যে মিল আছে কিন্তু আদতে এরা আলাদা ধরনের ভাইরাস।

কোভিড-১৯ ২০১৯ সালে সর্বপ্রথম দেখা দেয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু অনেক পুরনো রোগ হলেও কোভিড-১৯ সাধারণ ফ্লুয়ের তুলনায় অনেক দ্রুত ছড়ায়। সাধারণ ফ্লুর যেসব উপসর্গ সেগুলো কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে দেখা দিলেও তারা অনেক বেশি তীব্র। ঠান্ডা লাগার উপসর্গ তো থাকবেই সঙ্গে জ্বর থাকবে অন্তত ১০৫ ডিগ্রির বেশি। সেই সঙ্গে প্রচণ্ড অবসাদ, বিভিন্ন পেশীতে বা পুরো শরীরে তীব্র ব্যাথা, শুকনো কফ ও শীত অনুভূত হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

অবশ্য করোনাভাইরাসের প্রাথমিক অবস্থা, প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগা ও ফ্লুয়ের মধ্যে পার্থক্য করা মুশকিল। শুধু পরীক্ষা করেই বোঝা যাবে কোনটি কোন রোগের উপসর্গ। আবার ভাইরাস সংক্রমণের কতদিনের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পাবে তাও নিশ্চিত করে বলা যায় না। ঠান্ডা ও ফ্লুয়ের ভাইরাসের ক্ষেত্রে দুই থেকে তিনদিন লাগলেও করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে দুই থেকে ১৪ দিন লাগে উপসর্গ প্রকাশ পেতে।

ফ্লুয়ের ভ্যাকসিন থাকলেও করোনাভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোনো ওষুধ নেই। বিশ্বব্যাপী চিকিৎসক, বিজ্ঞানী ও গবেষকরা নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯-এর গতি প্রকৃতি বুঝতে ব্যাপক গবেষণা চালাচ্ছেন। যেহেতু নিরাময় নেই, তাই সংক্রমণ ছড়ানো বন্ধ করতে এখন পর্যন্ত কোয়ারান্টাইন এবং সচেতনতাকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আসুন সবাই মিলে যেখানে সেখানে কফ ও থুতু ফেলা বন্ধ করি এবং হাত পরিষ্কার রাখি।

ইনফ্লুয়েঞ্জা করোনাভাইরাস করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ কোভিড-১৯

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর