Thursday 16 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হাড়ক্ষয় প্রতিরোধে যা করবেন


১২ জানুয়ারি ২০২০ ১২:১৪ | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২০ ১২:২৭

এদেশের মানুষের শারীরিক সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হাড়ক্ষয়। বিশেষ করে নারীরা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। হাড়ক্ষয় রোধে পুষ্টিকর খাবারের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য ছোটবেলা থেকেই শিশুদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে।

ব্যায়াম করলে হাড় সুস্থ থাকে। হাড়ের শক্তি বাড়ে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। হাড়ক্ষয় প্রতিরোধে কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত।

আসুন প্রথমেই জেনে নেই কোন খাবারগুলো হাড় সুস্থ রাখে-

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার

হাড় মজবুত রাখার অন্যতম মূল উপাদান হলো ক্যালসিয়াম। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। মেনোপজের পর নারীদের এবং ৭০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।
দুধ, দই, আখরোট, কাঁচা বাদাম, সয়াবিন, কচুশাক, কুমড়ার বীজ, ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি হলো ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার। বাড়ন্ত বয়সেই শিশুকে এসব খাওয়াতে হবে।

অনেকে কোমড়, পা কিংবা হাঁটুর ব্যথায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট খান। যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। রোগের কারণ না বুঝে ক্যালসিয়াম ওষুধ খেলে কিডনীর সমস্যা হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ক্যালসিয়াম খেতে হবে।

শাক-সবজি 

হাড়ের সুস্থতায় শাক-সবজি খেতে হবে পর্যাপ্ত। বাধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি, পালং শাক, সরষে শাক ইত্যাদি খাবারে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফাইবারসহ নানা ধরনের পুষ্টিকর উপাদান। এগুলো হাড়ক্ষয় প্রতিরোধ করে। হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে।

ভিটামিন ডি

ভিটামিন ডি হাড়ক্ষয় প্রতিরোধে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি এর ৯০ ভাগ উৎস হলো সূর্য়ের আলো। তাই প্রতিদিন ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সূর্য়যর আলোতে থাকুন। বিশেষ করে সকালবেলার রোদ ভিটামিন ডি এর দারুণ উৎস।

বিজ্ঞাপন

মনে রাখা ভালো-

√ ধুমপান ও মদ্যপান হাড়ক্ষয়ের অন্যতম প্রধান কারণ। কারণ এই অভ্যাসগুলো বাদ দিতে হবে।

√ যারা ফলমূল ও শাক-সবজির তুলনায় আমিষ ও ফাস্টফুড বেশি খান তাদের হাড়ক্ষয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

√ বয়স বাড়ার পর চা, কফি ও চকলেট বেশি খেলে হাড়ের ক্ষতি হয়। এতে হাড়ক্ষয়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

হাড়ক্ষয়ের লক্ষণগুলো

প্রাথমিকভাবে হাড়ক্ষয়ের লক্ষণ বোঝা নাও যেতে পারে। তবে একটা পর্যায়ে হাঁটু ও কোমরে ব্যথা, শারীরিক গঠনে পরিবর্তন যেমন কুঁজো হয়ে যাওয়া, সামনের দিকে ঝুঁকে যাওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। মেনোপজের পর নারীদের হাড়ক্ষয়ের ঝুঁকি বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তাই এসময় সচেতন থাকতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

চিকিৎসা

প্রথমেই জরুরী রোগ সনাক্ত করা। এজন্য চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। হাড়ক্ষয়ের সমস্যায় বেশ কিছু ওষুধ কার্যকর। আবার অনেকসময় ব্যায়ামও এই রোগ অনেকখানি সারাতে পারে। রোগের মাত্রা ও ধরন অনুযায়ী চিকিৎসক ওষুধ ও ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

হাড়ক্ষয় প্রতিরোধে ভিটামিন ডি সহ প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটানো, ব্যায়াম এবং সঠিক জীবনযাপন পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। হাড়ক্ষয় সমস্যাকে কোনভাবেই অবহেলা করা যাবে না।

হাড় সুস্থ রাখতে হাড়ক্ষয় প্রতিরোধ

বিজ্ঞাপন

নিখোঁজ শিশুর মরদেহ মিলল ডোবায়
১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৫৩

বন্ধুকে দেখতে ছুটে গেলেন শাহরুখ
১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪৯

আরো

সম্পর্কিত খবর