রোজায় সুস্থ থাকতে পরিমিত খাবার খান
৭ মে ২০১৯ ১৪:২২ | আপডেট: ৭ মে ২০১৯ ১৫:৪০
বছর ঘুরে আবারও এলো রোজা। গরমের দিনে রোজা হওয়ায় আমাদের প্রায় পনেরো ঘণ্টা অভুক্ত থাকতে হবে। তাই রোজা ভেঙেই অনেকে হাপুসহুপুস করে একগাদা খাবার খেয়ে ফেলেন। এতে করে পেটে গ্যাস, বদহজম ও নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। রোজায় সুস্থ থাকতে তাই বাকি যে নয় ঘন্টা হাতে থাকে সেসময়ে পরিকল্পিতভাবে খাওয়দাওয়া করতে হবে। এতে রোজায় ওজন বেড়ে যাওয়াসহ আরও যেসব সমস্যা দেখা দেয় তা থেকে মুক্ত থাকা যাবে।
আজ থেকে সারাবাংলার পাঠকদের জন্য রোজায় সুস্থতার টিপস দেবেন পুষ্টিবিদ আজমেরী রহমান সিন্থীয়া।
বরাবরই আমাদের ভুল ধারণা লম্বা সময়ের রোজায় বেশি খাবার আর বেশি পানি ছাড়া থাকা সম্ভব না, যা কিনা একটি ভুল ধারণা।
বেশি খাওয়া বরং কষ্টের অন্যতম এক কারণ। পরিমিত খাওয়া শুধু রোজা নয়, যেকোন সময়ের জন্যই শ্রেয়।
রোজায় কিছু মৌলিক বিষয় মেনে চললেই রোজার পুরোটা সময় হতে পারে সুস্থ আর সুন্দর।
চলুন আজকের পর্বে জেনে নেই সেহেরি আর ইফতারিতে করণীয় কাজসমূহ
ইফতারি
সারা দিন অভুক্ত থাকার ফলে শরীরে শক্তির জন্য প্রয়োজনীয় খাবার যেগুলো দ্রুত শক্তি দেয় এমন খাবার হল গ্লুকোজ। এছাড়াও তত্ক্ষণাত্ শক্তির যোগান দিতে সক্ষম খাবারের মধ্যে আছে আংগুর, খেজুর, ফলের রস।
ইফতারের মেন্যুতে যা রাখা উচিত-
২-৩টি খেজুর, মিষ্টি ছাড়া শরবত অথবা ভেজিটেবল স্যুপ ইত্যাদি খেতে পারবেন।
এগুলো যেমন শরীরে সহজে শক্তি আহরণে কাজে লাগে তেমনি শরীরের পানি ও খণিজের প্রয়োজনও মেটায়। মিষ্টি শরবত, মিষ্টি জাতীয় অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবারে শরীর খারাপ করে। তাই এগুলো এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
বাইরের কোন প্রকার তেলে ভাজা বা অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার, মুখরোচক ও রসালো ইফতারও বাদ দেওয়াই ভালো। কেননা, বার বার একই তেলে ভাজা এবং অতিরিক্ত রং ও ভেজাল মসলার ব্যবহার খাবারগুলোর গুণগত মান কমিয়ে দেয়। এর পরিবর্তে বরং বাসায় তৈরী কম তেলে ভাজা পেয়াজু, চপ, বেগুনী, ছোলা, মুড়ি ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
সন্ধ্যা রাতে ডিনারে কি খাবেন তা ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। সাধারণত, সুষম খাবার খাওয়া ভালো, যাতে থাকবে সব রকমের খাবারের মিশ্রণ। যেমন- সালাদ, মুরগী, মাছ, ভাত, রুটি ও দধি। বাটার না খাওয়া ভাল। কুমড়া, কম ক্যালরিযুক্ত মাখন, টমেটো ইত্যাদি খেতে পারেন। যাদের ভাত খাওয়ার অভ্যাস নাই তারা আলু সিদ্ধ, মাছ এবং চর্বি বিহীন মাখন খেতে পারেন।
সেহেরি
অনেকেই সেহরি খেতে চান না। এই অভ্যাস ঠিক নয়। রোজায় দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হবে তাই সেহরি বাদ দেওয়া যাবে না কিছুতেই। তবে সেহরি পেট ভরে না খেয়ে হালকা খাওয়া ভালো। আস্তে আস্তে হজম হয়, সময় লাগে এমন কমপ্লেক্স ও শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া উত্তম। এতে সহসা ক্ষুধাও লাগবে না।
খাবারের তালিকায় যা রাখতে পারেন-
শর্করা জাতীয় খাবার যেমন – ভাত (পরিমিত), ডাল, হালকা খিচুড়ি ইত্যাদি; প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন- ডিম, মুরগীর মাংস, দুধ, কাচাকলা; সামান্য চর্বি জাতীয় খাবার যেমন- সামুদ্রিক মাছ, মেয়োনেজ দিয়ে সালাদ।
সুস্থ ও বরকতময় হোক আপনার রমজান।
সারাবাংলা/আরএফ