বিশ্বের প্রাচীনতম বারবার শপ এখন ঢাকায়
৪ আগস্ট ২০১৯ ২২:২৬ | আপডেট: ২৩ মে ২০২২ ১৩:০০
পুরুষদের সব ধরনের সেবাদানকারী বারবার শপ (চুল কাটার দোকান) ‘ট্রুফিট অ্যান্ড হিল’ তাদের ২৫তম আউটলেট চালু করেছে বাংলাদেশে। হট টাওয়েল সেভ, ফেসিয়াল পেডিকিওর ও ম্যানিকিওরসহ পুরুষদের জন্য এই অত্যাধুনিক বারবার শপে রয়েছে ১৫০ টিরও বেশি প্রোডাক্ট।
১৮০৫ সালে ইংল্যান্ডের মে ফেয়ারে প্রথমবারের মতো চালু হয় এই বারবার শপ । সেই থেকে ধারাবাহিকভাবে গ্রেট ব্রিটেনের নয়টি রাজার দীর্ঘ সময়কাল ধরে রাজপরিবারের সদস্যদের সেবা দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার (৫ আগস্ট) থেকে রাজধানী ঢাকার গুলশান অ্যাভিনিউ-এর মলি ক্যাপিটা সেন্টারে স্যালনটি চালু হবে। এই উপলক্ষে রোববার (৪ আগস্ট) স্যালনটিতে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
ভারতীয় প্রতিষ্ঠান লয়েডস লাক্সারি লিমিটেডের হাত ধরে রয়েল অ্যাফেয়ার্স লিমিটেড ঢাকায় নিয়ে এলো এই লাক্সারি স্যালনটি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন লয়েড লাক্সারি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জিতা রামানান, রয়েল অ্যাফেয়ার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুকাররাম হুসাইন খান ও ট্রুফিট অ্যান্ড হিলের সিইও মাহিরা হুসেইন খান।
রয়েল অ্যাফেয়ার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুকাররাম হুসাইন খান বলেন, আমাদের দেশে পুরুষদের জন্য এই প্রথম উন্নতমানের পণ্য ও সেবা নিয়ে এলো ট্রুফিট অ্যান্ড হিল। স্যালনটিতে ব্রিটেনে উৎপাদিত নিজস্ব ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়। এখানে সেবা নেওয়ার পাশাপাশি এসব পণ্য কেনাও যাবে।
সারাবাংলা থেকে মুকাররাম হুসেইন খানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আমাদের দেশের আবহাওয়া ও পুরুষদের ত্বকের ধরন অনুযায়ী পণ্য ব্যবহৃত হবে কি না। তিনি বলেন, ট্রুফিট অ্যান্ড হিল গ্রেট ব্রিটেনের কোম্পানি হলেও তারা আরও আগে থেকেই এশিয়ান দেশ মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, কুয়েত, সিঙ্গাপুর ও ইন্ডিয়ায় সেবা দিয়ে আসছে। তাই তুলনামূলক গরম আবহাওয়ার উপযোগী পণ্য রয়েছে তাদের যা ঢাকায় ব্যবহার করা হবে।
লয়েডস লাক্সারির সঞ্জিতা রামানান বলেন, ব্রিটেনের রাজ পরিবারসহ বিশ্বের নানা শহরে দুশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে এই স্যালনটি। তিনি বলেন, এখানে যারা সেবা দেবেন তাদের সবাইকেই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সেবা গ্রহীতার প্রয়োজন বুঝে সেই অনুযায়ী পণ্য ব্যবহার করে সার্ভিস দেওয়া হবে এখানে।
ট্রুফিট অ্যান্ড হিলের সিইও মাহিরা হুসেইন বলেন, ট্রুফিট অ্যান্ড হিলের মতো একটা আন্তর্জাতিক স্যালন বাংলাদেশে আনতে পেরে তিনি আনন্দিত। ঢাকায় এই প্রতিষ্ঠান চালু করার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, তার বাবা মুকাররাম হুসেইন টরেন্টোতে এই স্যালনে গিয়ে মুগ্ধ হন এবং ঢাকায় এটি চালু করেন।
মাহিরা বলেন, তাদের সব কর্মী ও ম্যানেজার বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। গ্রাহকের ত্বকের ধরন বুঝে সেবা পাওয়া যাবে এখানে।
স্টোর ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ বলেন, ট্রুফিট অ্যান্ড হিলে খুচরা সেবার পাশাপাশি বাৎসরিক সদস্যপদ নেওয়া যাবে। রয়্যাল মেম্বারশিপ প্রিভিলেজেস এবং ক্ল্যাসিক মেম্বারশিপ প্রিভিলেজেস নামে দুই ধরনের বাৎসরিক সদস্যপদ নেওয়া যাবে এখানে। এসব সদস্যপদ থাকলে বিশ্বের যেকোন ট্রুফিট অ্যান্ড হিলের আউটলেটেও সেবা গ্রহণ করা যাবে।
সাব্বির বলেন, সরাসরি এসে সেবা নেওয়ার পাশাপাশি আগেই টেলিফোনে বুক করতে পারবেন। অনলাইনে সেবা বাছাই বা বুকিং করার পদ্ধতি এখনও চালু না হলেও দ্রুতই সেই ব্যবস্থা চালু হবে বলে জানান, মুকাররাম হুসেইন।
ট্রুফিট অ্যান্ড হিল ফেসিয়াল পেডিকিওর বারবার শপ ম্যানিকিওর হট টাওয়েল সেভ